প্রতারক, মূর্খ, মাদকাশক্ত, ভুয়া ম্যজিস্ট্রেট, ভুয়া দুদক কর্মকর্তা ও ভুয়া ডিবি’র গডফাদার আবু ইউসুফ সেলিম!

মাদকাশক্ত ও মূর্খ উপচার পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ সুরুজ। সাবেক ওয়েলডিং মিস্ত্রি। পিতা: মৃত: মানিক। তার বাড়ি মহানগীর রাজপাড়া থানাধিন তেরখাদিয়া পশ্চিম পাড়া এলাকায়। রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উপচার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দানকারী এই সূরুজ। স্থানীয়রা বলছে, প্রাইমারীর গন্ডিপার করেনি সূরুজ। তাকে উপচার পত্রিকার কার্ড ঝুলিয়ে বেড়ায়। পদবি স্টাফ রিপোর্টার।

কত টাকার বিনিময়ে এই মূর্খ, মাদকাশক্তকে একটি দৈনিক পত্রিকার কার্ড দিয়েছেন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে স্থানীয়দের ও সাংবাদিকদের মাঝে। সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে এই ভাবেই কলংঙ্কিত করছেন প্রকাশক ও সম্পাদক আবু ইউসুফ সেলিম ও তার যুগ্ন-সম্পাদক পদধারী নূরে ইসলাম মিলন। সেও আবার ৮ম শ্রেণীর গন্ডিপার করেনি।কর্ম চিট,বাটফারী,প্রতারনা,দালালী,ভুয়া দুদক সোর্স ও দুদক অফিসার।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ২ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলেই পাওয়া যায় উপচার পত্রিকায় কার্ড। কিন্তু শর্ত হলো প্রতি মাসে ১ থেকে ২ হাজার টাকা দিতে হয় পত্রিকার যুগ্ন সম্পাদক প্রতারক মিলনকে। তবে সরাসরি টাকা নেনা প্রকাশক ও সম্পাদক আবু ইউসুফ সেলিম। তিনি যা করেন তা প্রতারক মিলনের মাধ্যমেই করে থাকেন।

তারা আরও বলেন, এই উপচার পত্রিকার সাংবাদিক মাসুদ রানা ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় প্রইভেটকার সহ জনতা আটক করে। পরে ধোলাই পর্ব শেষ করে বাগমারা থানায় সোপর্দ করে। এর আগে চারঘাট থানায় টাংগণ এলাকায় ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার সময় সাধারন জনগন গনধোলাই দিয়ে চারঘাট থানায় সোপর্দ করে এই চিট মাসুদকে। এছাড়াও নওগাঁ জেলায় গ্রেফতার হয় আরও দুই উপচার পত্রিকার সাংবাদিক।

এই উপচার পত্রিকার কার্ড নিয়ে আরো কতজন মূর্খ, মাদকসেবী, প্রতারক ও মাদক কারবারীরা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছা রাজশাহী মহানগরী,উপজেলা ও জেলাগুলোতে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নাই।তবে আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার কাছে দাবি তুলেছেন এই সকল নামধারী কার্ড ধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন নগরবাসী, সাংবাদিকবৃন্দ ও সচেতন মহল।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সাংবাদিকরা জানান, ফটো সাংবাদিকতা করতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগেনা।কিন্তু অশিক্ষিত লোকজনকে স্টাফ রিপোর্টার পদবি দিয়ে কার্ড দেয়া বড়ই লজ্জাসকর।টাকার জন্য একজন শিক্ষক এতো নিচে নামতে পারে তা উপচার পত্রিকার কতৃপক্ষকে না দেখলে বোঝা যাবেনা।তারও বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

মূর্খ, প্রতারক,ভুয়া ডিবি,ম্যজিস্ট্রেট পরিচয় দানকারী উপাচারের কার্ডধারী সাংবাদিকদের বিষয়ে জানতে চাইলে,দৈনিক উপচার পত্রিকার সম্পাদক মোঃ আবু ইউসুফ সেলিম বলেন,আমি যোগ্যতা সম্পন্ন লোকজনকেই পত্রিকার কার্ড দিয়েছি।এ ছাড়া অন্য কোন কথা বলতে চাননি তিনি। অভিযোগ উঠেছে,উপচার পত্রিকা নিয়মিত ছাপা হয় না।এই পত্রিকার কেউ প্রতারনা করে পুলিশ বা র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হলে আবু ইউসুফ সেলিম নিজেই যান তদবির করতে।সম্প্রতি যুগ্ন সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা প্রতারনা মামলায় সাজা হয়।

পরে (১১ জানুয়ারী ২০২২) বেলা ১১টায় নগরীর ঘোড়ামারা ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ নিয়ে একাধিক দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সেলিম মামলার বাদি রায়হানের কাছে চাপাইনবাবগঞ্জে যায়। সেখানে সে বাদির সামনে কয়েকজন লোকের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে সাংবাদিক মাসুদ রানা রাব্বানীসহ কয়েকজনের হাত-পা কেটে নেয়া হুমকি দেয়। এরপর (২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২) দুদকের ভুয়া সোর্স ও দুদকের অফিসার পরিচয়ে ৮ লাখ টাকা প্রতারণা মামলায় আবার ও গ্রেফতার হয় মিলন।

খবর পেয়ে ওই দিনই রাতে আবু ইউসুফ সেলিম ছুটে যায় র‌্যাব -৫ এর সদর দপ্তরে। সেখানে তিনি সুপারিশ করে বলেন, মিলন ভালো ছেলে। এ সময় মামলার বাদি ভুক্তভোগী হেলাল, আবু ইউসুফ সেলিমকে চরম অপমান করেন। পরে তিনি সেখান থেকে সটকে পড়েন।

Comments (০)
Add Comment