চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে রিকশা চালকের গাড়ীতে উঠা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এলোপাথারি দায়ের কোপে রিকশা চালক মো. কোরবান আলী(৩০)নামে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যু বরণ করেন বলে জানা যায়।এ ঘটনায় গুরুতর আহত অন্তত আরো দু'জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এদের অবস্থা ও আশংকাজনক বলে জানা যায়।শনিবার(১৪ জানুয়ারী)সন্ধ্যা ৭ টার সময় উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পূর্ব শীলকূপ আদর্শগ্রাম ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাঁশখালী ইকোপার্ক সড়ক স্থানীয় আপু মিয়ার চা দোকান সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় নিহত রিকশা চালক মো.কোরবান আলী পৌরসভার দক্ষিণ জলদী ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত হাকীম আলীর পুত্র।এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন শীলকূপ আদর্শ গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মুনশী মিয়ার পুত্র আবু সৈয়্যদ(৫০),অপর জন একই এলাকার মীর হোসাইন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আবু সৈয়দের সাথে জমির উদ্দিন প্রকাশ কালু'র মধ্যে গাজা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে কথা হয়।তাদের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মো. জমির উদ্দিন প্রকাশ কালু পাশের রিকশা চালককে এই রিকশা চল আমি চলে যাবো এমনটি বলে।এ সময় রিকশা চালক কোরবান আলী প্রতি উত্তরে বলেন,আমার আরেক জন যাত্রী আছে সে আসলে একসাথে যাবো।এ কথা বলতে না বলতে দা নিয়ে রিকশাচালক কে এলোপাথারি কোপ মারে কালু।এতে তার গর্দান ও মাথায় গুরুতর জখম হয়।

এ ঘটনায় অপর দু'জনও তার দা'য়ের কোপে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।আহতদের কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।এ ঘটনায় গুরুতর আহত কোরবান আলী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কোরবান আলী নামক একজন রিকশাচালক চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিষয়ে অভিযান চলছে। তবে উক্ত ঘটনায় ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা মূল আসামিকে মাদক সেবন অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আজ রাতে তাঁর অভিযান চলবে। দেখি আর কোন কিছুর আলামত পাই কিনা। তবে উক্ত আসামী বাঁশখালী থানার পুলিশকে কোপানো সহ একাধিক মামলার আসামি।