বাঁশখালীর কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে দীর্ঘ ২২ঘন্টা পর চীনা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার।

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত নিখোঁজ চীনা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে চীনা কর্মকর্তা ও থানা পুলিশ দল।টানা ২২ ঘন্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় প্রকল্প এলাকার সাগর পাড়ে একটি ফাইলিংয়ের বিশাল গর্ত থেকে নিখোঁজ জিই কিংওয়েন(ঢওঊ ছওঘএডঊঘ)এর লাশ খুঁজে পাওয়ার পর প্রকল্প এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।

তিনি গত বুধবার(১১ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।তিনি মাউমিং কোম্পানির সাব-কনট্রাক্ট সিপিপি কোম্পানির পাইপ লাইনের একজন শ্রমিক।বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর।তাঁর পাসপোর্ট নম্বর ঊঈ০৪১৫৬৩৩ ।

কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়কারী সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক বলেন, ‘ চীনা শ্রমিক জিই কিংওয়েন নিখোঁজ হবার পর থেকে চীনা কর্মকর্তারা তাঁর কর্ম এলাকায় সাগর পাড়ে বিভিন্ন ফাইলিংয়ের গর্তে খোঁজাখোঁজি করছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিশাল ফাইলিংয়ের গর্তে তাঁর লাশ দেখে চীনা কর্মকর্তারা পুলিশকে জানায়। বাঁশখালী থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।’

স্থানীয় কিছু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকদের অভিযোগ, ‘ প্রকল্প এলাকায় বর্তমানে ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করছে।কিছুদিন আগে ৭ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এবং ২১ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।তারপরও প্রতিমাসের শুরুতে শতাধিক শ্রমিকের বেতন না পাওয়া নিয়ে ম্যান পাওয়ারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ চলে আসছিল প্রকল্পের ভিতর।

বিষয়টি গোপন থাকায় প্রায় সময় অপঘাতমূলক ঘটনা ঘটছে। এছাড়া মাউমিং কোম্পানির সাব-কনট্রাক্ট সিপিপি কোম্পানির সাইডে ১টি ক্রেনের ৪ মাসের ভাড়া বাবদ ৫০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে এবং এস কর্পোরেশনের ১টি ক্রেনের ভাড়া বাবদ ৬০ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।তা নিয়েও কয়েকদফা উত্তেজনাকর বৈঠকেও সমাধান হয়নি।’

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফীউল কবির বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। দূর্ঘটনাজনিত কারণে চীনা শ্রমিক মারা গেছে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ কী করা হবে তা সিদ্ধান্ত হবে।’

Comments (০)
Add Comment