ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী,রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী,রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ।রোটারিয়ান ফরহাদুল ইসলাম(৩৫)সিরাজ-উদ-দৌলা রোডস্থ”বাংলালুক” নামের ক্রেস্ট,ব্যানার,সাইনবোর্ড ইত্যাদি ডিজাইনের ব্যবসার স্বত্বাধিকারী।গত ৭ই জুলাই তিনি পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে তার অফিসে কর্মরত ৪ জন কর্মচারীকে ছুটি দিয়ে অফিস তালাবদ্ধ করেন।

ঈদের দুইদিন পর ফরহাদুল ইসলামের অফিস স্টাফ জাহেদ অফিসে এসে দেখে,অফিসে প্রবেশের গলির তালা খোলা,প্রধান দরজায় এসে দেখে সেখানের তালাটাও নেই।অফিস স্টাফ জাহেদ তৎক্ষনাৎ বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিক ফরহাদুল ইসলামকে জানালে তিনি তড়িঘড়ি করে অফিসে আসেন।

অফিসের ভিতর প্রবেশ করে তিনি দেখেন,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ২টি প্রিন্টার,১টি সিপিইউ,১টি মনিটর,১টি ল্যাপটপ(যেখানে গ্রহকদের সকল ডকুমেন্ট স্টোর করা ছিল),১টি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি,সিসিটিভির ডিভিআর কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।

ব্যবসায়ী ফরহাদুল ইসলাম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলেন।কিন্তুু চোর সিসিটিভির স্টোরেজ সিস্টেম(ডিভিআর)টি ও চুরি করে নিয়ে যায়,যে কারনে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয় নাই।

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরির বিষয়ে চকবাজার থানায় মামলা রুজু করা হলে মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই রাজীব পাল ক্লুলেস মামলটির তদন্ত করতে গিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেয়।একপর্যায়ে তদন্তকারী অফিসার নিশ্চিত হয় যে,বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আনিসুর রহমান(২১)এই চুরির বিষয়ে জড়িত।

নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে আনিসুর রহমান স্বীকার করে যে,সে নতুন করে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য অফিস বন্ধের সময় ডুপ্লিকেট চাবি(আগে থেকে তার কাছে ছিল)দিয়ে অফিসের তালা খুলে গভীর রাতে বাদীর প্রতিষ্ঠান থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো চুরি করে তার গ্রামের বাড়ী লোহাগাড়া থানাধীন পদুয়ায় নিয়ে যায়।

এরই প্রেক্ষিতে চোরাই মালামাল গুলো সেখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়।মালামল গুলো জব্দ করা হয়।গ্রেফতার কৃত আনিসুর রহমান(২১)স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Comments (০)
Add Comment