ভাস্কর্যবিরোধীদের নিজের বা বাবার ছবিও রাখার কথা নয় : তথ্যমন্ত্রী

গোলাম রাব্বানী: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড . হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর যারা আঘাত হেনেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া জনগণের দাবি। তাদেরকে শাস্তি দিতেই হবে।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘যাদের কাছে ভাস্কর্য অগ্রহণযোগ্য, নিজের বা বাবার ছবিও তাদের রাখার কথা নয়। টেলিভিশনে তাদের চেহারা দেখানো এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা যে ভাস্কর্যবিরোধী পোস্ট দেন, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী সেটিও তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবার কথা নয়। অতএব এই সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না বলে সাফ জানান তিনি। এসময় তথ্যমন্ত্রী, ভাস্কর্য আর মূর্তি গুলিয়ে না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, সাধারণ মানুষকে ও আলেম সমাজকে বিভ্রান্ত না করার আহ্বান জানান। রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আজকে ভাস্কর্য আর মূর্তিকে এক বানিয়ে ফেলা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,‘ভাস্কর্য পৃথিবীর সব দেশেই আছে এমনকি সৌদি আরবেও শাসকদের অবয়বসহ বহু ভাস্কর্য আছে। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনীর ভাস্কর্যসহ বহু ভাস্কর্য আছে, তুরস্কেও আছে। যারা পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাস করে, পাকিস্তান ভেঙে গেল বলে যারা বুক চাপড়ায় তাদের অনুসারীদের সেই পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ভাস্কর্য আছে, কবি ইকবালের ভাস্কর্য আছে।’ ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, প্রতিজন আলেম সেখানে মাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকার বেশি সরকারি ভাতা পাচ্ছেন, যা আরো বাড়বে। কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবি ১০০ বছরে কেউ পূরণ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি এবং এরপর সেখান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিও পেয়েছে। এসময় আলেম সমাজকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমসহ অন্যরা।

Comments (০)
Add Comment