মুরাদনগরে মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা ও ভাংচুড়

সাখাওয়াত হোসেন তুহিনঃ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ, বাড়ী ঘর ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পালটা পালটি হামলার অভিয়োগ পাওয়া গেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রামচন্দ্রপুর (উত্তর) ইউনিয়নের দক্ষিন বাখরাবাদ এলাকার মিনার মসজিদের জায়গা নিয়ে জুম্মার নামাজের পূর্বে এই সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়।

আহতরা হলেন, রামচন্দ্রপুর মিনার মসজিদের হিসাব রক্ষক আলী হোসেন(৫০), মৃত্য চান মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম(৬৮), ছেলে মাসুক মিয়া(৩২), জুলহাশ(৩৮), আশুক(২২), মারুফ(৩৫), টিপু(২০), শাজ উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন রিপন(৪৫), নাজমুল হাসান(৩৭), মোস্তফা(৩৮), মনির(৩২) ও মাসুদ(৩২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে মসজিদের দাতা সদস্য ও মসজিদ কমিটির সভাপতির সাথে সেক্রটারী পদ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রাবর জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদ কমিটির সভাপতি জীবন মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, আলী হোসেনের (দাতা সদস্য) পরিবাররা মসজিদের জমি দখল করে রেখেছেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক আলী হোসেন প্রতিবাদ করলে জীবন মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে আলী হোসেন উপর হামলা চালায়। এ সময় আলী হোসেনসহ তার পরিবারের অন্তত ৭জন আহত হয়। এরই জেরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ কয়েক বার পালটা পালটি হামলার অভিযোগ উঠে। এর পর বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে রামচন্দ্রপুর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে।

এ ব্যাপারে আলী হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রথমে জীবন মেম্বারসহ তার লোকজন মসজিদের দরজা বন্ধ করে আমাকে ও আমার পরিবারের লোক দের পিটিয়ে আহত করে। পরে সন্ধ্যায় আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ী আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ঠিক সেই সময় জীবন মেম্বার, জলিল, শাহজাহান, হবি, জসিম, খলিল, দেলোয়ার নাজমুলের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী রাম দা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় পরে বাড়িতে গিয়েও হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমাদের ৮/১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, জীবন মেম্বারের সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমাদের পরিবারের লোকজন বাড়ী ছাড়া রয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযোক্ত জীবন মেম্বার আলী হোসেনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তারা মসজিদের জমি দখল করে রেখেছে সে কথা আমি বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা চালায় ও আমার ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এ সময় আমার ছেলে ভাতিজাসহ প্রায় ৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনারস্থল পরির্দশন করেছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে রাতে রামচন্দ্রপুর বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Comments (০)
Add Comment