মুশফিক-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের চমৎকার সেশন

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশন ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। আজ বুধবার চতুর্থ দিনও সাবলীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন দুজন। লিটন-মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম দারুণ সেশন পার করল বাংলাদেশ।

৩১৮ রান নিয়ে আজ টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছে বাংলাদেশ। লিটন ও মুশফিকের শতরানের জুটিতে সেই রান এখন সাড়ে তিনশ ছাড়িয়েছে। প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার খুব কাছাকাছি মুমিনুল হকের দল।

গতকাল তৃতীয় দিন আউট হননি তামিম ইকবালও। তবে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন তিনি। তৃতীয় দিনের দুই সেশনে ব্যাট করেছেন তিনি। সেঞ্চুরিতে খেলেছেন ১৩৩ রানের চমৎকার ইনিংস। ২১৭ বলে তাঁর ইনিংসে আছে ১৫টি বাউন্ডারি। তাঁর ইনিংসজুড়েই ছিল কর্তৃত্বের ছাপ। তবে সেঞ্চুরি পাওয়ার পর কিছুটা ক্র্যাম্পে ভুগতে দেখা যায় তাঁকে। যার কারণে তৃতীয় সেশনে আর মাঠে নামেননি তিনি। তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশের ব্যাটিং সামাল দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।

সাগরিকায় বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে কাল তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে অবিচ্ছেদ্য থেকে জুটি অক্ষত রাখেন তামিম ও জয়। দুজনেই এই সেশনে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।

৩৯ রানে দিন শুরু করে দিনের পঞ্চম ওভারেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। অফস্পিনার রমেশ মেন্ডিসকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পঞ্চাশের দেখা পেয়ে যান বাঁহাতি ওপেনার। ক্যারিয়ারের ৩২তম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি করতে তামিম খেললেন ৭৩ বল।

তামিমের সঙ্গে থাকা জয়ও পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দেখা। আসিথা ফার্নান্দোর বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে দুই রান নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন জয়। হাফসেঞ্চুরি পেতে জয় খেলেন ১১০ বল।

হাফসেঞ্চুরিতে দুই ওপেনার প্রথম সেশন ভালোভাবে পার করেন। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর হঠাৎ ছন্দ হারালেন জয়। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই ফার্নান্দোর ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হলো তরুণ এই ওপেনারকে। ১৪২ বলে ৫৮ রান করে আউট হয়েছেন জয়।

এরপর উইকেটে এসে টিকলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ২ রানেই তাঁকে বিদায় করেছে লঙ্কানরা। আউট হয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। প্রথম সেশন দারুণ কাটানোর পর দ্বিতীয় সেশনে হঠাৎ ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। এই এক সেশনে তিন উইকেট হারায় মুমিনুল হকের দল।

কিন্তু স্রোতের বিপরীতে ছিলেন তামিম। উইকেটে থিতু হয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দোকে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৯৫ থেকে ৯৯-এর ঘরে যান তামিম। এর পরের বল লেগ সাইডে পাঠিয়ে এক রান নিয়ে পেয়ে যান শতকের দেখা। শতক হাঁকাতে বাঁহাতি ওপেনারের লেগেছে ১৬২ বল। এর মধ্যে হাঁকিয়েছেন ১২টি বাউন্ডারি। সেঞ্চুরির পর আরো ৩৩ রান যোগ করে বিশ্রামে যান তিনি।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে ৩৯৭ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা ম্যাথুজ খেলেছেন ১৯৯ রানের ইনিংস।

Comments (০)
Add Comment