যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ ঘোর আঁধারে পথ দেখাবে আগুনের নিশান’ প্রতিপাদ্যে যশোরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী গণসঙ্গীত উৎসব। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এই উৎসব আয়োজন করেছে পুনশ্চ যশোর।
টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে সন্ধ্যায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে উৎসবের শুভআরম্ভ হয়। দুইপর্বের অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে আলোচনা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। পরে ঢাকা ও খুলনা বিভাগের সাতটি দল উৎসবে নিজেদের পরিবেশনা উপস্থাপন করে।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার সমবায় ও পল্লীউন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য হাবিবা শেফা ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু। পুনশ্চের সহসভাপতি শহিদুল হক বাদলের সভাপতিত্বে আয়োজনে স্বাগত বক্তৃতা করেন উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক পান্না লাল দে।
আয়োজনের প্রথম দিন ঢাকার বহ্নিশিখা, বাগেরহাটের অংকুর, সাতক্ষীরার গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, নড়াইলের বেনুকা, ঝিনাইদহের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোরের সুরধুনী ও নৃত্যবিতান পরিবেশনায় অংশ নেয়। আয়োজনে ‘সুবর্ণঋণ’ নামে স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আয়োজন নিয়ে উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক পান্নালাল দে বালেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম মূল উৎস ছিল গণসঙ্গীত। গণজাগরণে এই সংগীতের ভূমিকা অনস্বিকার্য। অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই হোক, যে কোন সংগ্রাম, যেকোন সত্য প্রতিষ্ঠা, যেকোন বিজয়ের লক্ষ্যে, যেকোন আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান গণসঙ্গীত। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিজয়ের মাসের মাত্র কয়েকদিন আগে সেই গণসংগীতকে উপজীব্য করে এ আয়োজন।
আগামীকাল ২৬ নভেম্বর উৎসবের দ্বিতীয় দিন সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী ঢাকা, মেহেরপুর উদীচী, চুয়াডাঙ্গার দর্শনার আনন্দধাম, উদীচী খুলনা, সুরবিতান যশোর, শেকড় যশোর, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ যশোর ও পুনশ্চ যশোরের শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করবেন।