রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের পাশে খোলা পোল্ট্রি খামারে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ

রামু প্রতিনিধিঃ দেশের পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধ আঙ্গুলি দেখিয়ে যেখানে সেখানে গড়ে তুলেছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোল্ট্রি খামার।যার কারণে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।মানুষের শরীরে চড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ জীবাণু পরিবেশ আইনে মানুষের বসবাসের আশেপাশের ও চলাচলের পথে পরিবেশ দূষিত এমন কিচু না করার নিষেধ থাকলেও তা মানছে না তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে পাশে খোলা স্থানে গড়ে তুলা খামার গুলোতে নেই কোন পরিচর্যা মাচাং দিয়ে উপড়ে রাখা মুরগীর পায়খানাগুলো নিচে কাদা পানিতে পড়ে তার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং জন্ম হচ্ছে মশা মাছির উপদ্রব।এ গন্ধে পথ দিয়ে মানুষ নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করা মুশকিল।

এমনকি অনেক সময় রামু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি আসা-যাওয়ার পথে গাড়ির ভিতরে মুখে রুমাল দিয়েও সহ্য করা যায় না অপর দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষের বসবাসের ১০-২০ গজের মধ্যেও গড়ে তুলেছে এসব খামার।লোকালয়ে গড়ে তুলা এসব খামারের মরা মুরগী গুলো মাটিতে পুঁতে পেলার নিয়ম থাকলেও যেখানে সেখানে পেলে পঁচা গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায় তার উপড় ফার্মের ব্যাবহৃত লিটার(পায়খানা)গুলোতে কোনো কীটনাশক না মিশিয়ে ফেলছে যেখানে সেখানে।

অনেক জায়গায় খামারের ময়লা আবর্জনাগুলো খালে বা ছরায় পেলে দুই এক কিলোমিটারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেকে জানান,এসব অসাধু খামারীরা বসত ভিটার আঙ্গিনায় বা অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে তুলেছে খামার।

যেমন-বাইশারী পেঠান আলী পাড়া জামে মসজিদ, হেফজখানা ও মাদরাসার একটু উপরে পাহাড়ের চুড়ায় গড়ে তুলেছে সাবেক চেয়ারম্যান পুত্র হাবিব ও শাহাজানের পোল্ট্রি খামার।যার উচ্ছিষ্ট, মরা মুরগী আর পায়খানা সমূহ বিশেষ করে বর্ষার বৃষ্টিতে দৃর গন্ধ ছড়াচ্ছে তাতে শিক্ষার্থী সহ অনেকের বিভিন্ন রোগের আশংকা করছে স্থানীয়রা।

পরিবেশ রক্ষা সহ জনগণকে বচাতে সংশ্লিষ্টদের সু দৃষ্টি কামনা করেন অত্র মাদরাসার শিক্ষক,অভিভাবক সহ এলাকাবাসী।অপরদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বিছামারা,ছালামী পাড়া,চাকঢালা আমতলী মাঠ,কম্বনিয়া সহ ঘুমধুম ইউনিয়ন ও রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে তুলেছে এ সমস্থ খামার।যার থেকে পরিত্রান পাচ্ছেনা পথচারী সহ এলাকাবাসী।

এবিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানেটারী ইনসপেক্টর খুখুমণি বড়–য়া জানান এসব ময়লা আবর্জনা থেকে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ে।আর এসব দুর্গন্ধ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তার থেকে বিভিন্ন রোগ জন্ম নেয়।যার থেকে ম্যালেরিয়া,জন্ডিস ও লান্সে শ্বাসকষ্ট এমনকি কলেরা রোগের সম্ভবনাও রয়েছে।এই পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে কেউ এই বিষয়ে কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি।কিন্তু সচেতন মহলের উচিত পরিবেশ রক্ষার্থে এসব বিষয়ে সচেতন হয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা।অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments (০)
Add Comment