র‌্যাব-৭ এর অভিযানে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া এলাকায় পেটের ভিতর ইয়াবা পাচারকালে আনুমানিক ১৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫,৩৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারপূর্বক ০৬ জন বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক আটক।

র‌্যাব-৭ এর অভিযানে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া এলাকায় পেটের ভিতর ইয়াবা পাচারকালে আনুমানিক ১৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫,৩৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারপূর্বক ০৬ জন বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক আটক।র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে,কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখ ২০৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া এলাকায় কক্সবাজার টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল¬াশি শুরু করে।এ সময় র‌্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহী বাসকে থামানোর সংকেত দিলে বাসের চালক বাসটি র‌্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামায়।
র‌্যাব সদস্যরা তল্লাশীর উদ্দেশ্যে উক্ত যাত্রীবাহী বাসে উঠে সিটে বসে থাকা সকল যাত্রীদের গতিবিধি অবলোকন করে কথাবার্তায় সন্দেহভাব প্রকাশ পাওয়ায় র‌্যাব সদস্যরা আসামি আসামী ১।মোঃ তারেক (১৯),পিতা-মোঃ হোসেন,২।মোঃ আঃ শুক্কুর (১৪),পিতা-সম্ভুলক,৩।মোঃ নুর হাসান (১৪), পিতা-মোঃ নুরুল হক,৪।বশির আহাম্মদ(১৪),পিতা-মৃত কবির আহাম্মদ,৫।মোঃ আয়াস (১৩),পিতা-আব্দুর রহিম,সর্ব সাং-মন্ডু হারিপাড়া, মায়নমার বর্তমানে সাং-লেদা এমএলএস ক্যাম্প-২৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্প,থানা- টেকনাফ,জেলা- কক্সবাজার এবং ৬।শামসুল আলম (১৪),পিতা- মোঃ আইয়ুব,সাং- জালিয়াপাড়া,থানা-টেকনাফ,জেলা-কক্সবাজার’দের আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে,তাদের পেটের ভিতরে কসটেপ মোড়ানো ইয়াবা ট্যাবলেটের প্যাকেট রয়েছে।আটককৃত আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক্সরে করে ইয়াবা ট্যাবলেটের উপস্থিতি পাওয়া যায়।আসামীদের পেটের ভিতর হতে কসটেপ মোড়ানো ১১০ টি প্যাকেট হতে ৫,৩৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়,তারা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক এবং দীর্ঘদিন যাবত মায়ানমার হতে মাদকদ্রব্য আনয়ন করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুদ রেখে পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে।জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়,আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবা পাচার করার জন্য এই অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে।এছাড়াও যাতে অপরাধীদের সনাক্ত করা না যায় তাই মাদক ব্যবসায়ীরা অল্প বয়স্ক শিশুদের ব্যবহার করছে।
Comments (০)
Add Comment