সন্দ্বীপের সবচাইতে অভিজাত এলাকার অবহেলিত রাস্তাটি পুনঃনির্মান হচ্ছে ১কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে।

সন্দ্বীপ পৌরসভার সব চাইতে অভিজাত আবাসিক এলাকার রাস্তাটি দীর্ঘ অনেক বছর ধরে বিভিন্ন খানা খন্দকে চলাচলের অনুপযোগী ছিলো। যানবাহন চলাচলের সময় ঘটতো অনেক দুর্ঘটনা।একটু বৃষ্টি হলে রাস্তা নিচু হওয়ায় ও ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জ্বলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হতো।যে রাস্তাটি মোমেনা সেকান্দর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় রোড নামে পরিচিত।অনেকে যেটিকে ভাই ভাই হোটেল গলিও বলে থাকেন।
সে এলাকার দীর্ঘ কষ্টের অবসান ঘটাতে সন্দ্বীপ পৌরসভা কর্তৃক নগর উন্নয়ন প্রকল্লের আওতায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকে ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে রাস্তাটি।
প্রায় ৩ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফিট চওড়া এবং টেকসই করে তৈরি করা হচ্ছে উক্ত রাস্তাটি।যার কারনে সেই অভিজাত এলাকার অভিশাপ ঘুঁচছে এবং অভিজাত এলাকার আভিজাত্য ফিরে আসবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।এতে সবাই খুবই খুশী ও উচ্ছসিত হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা,মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম ও কাউন্সিলর শাকিল উদ্দিন খোকনের প্রতি।
এলাকা বাসীর ভাষ্য মতে ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত রাস্তার দুই পাশে রয়েছে অনেক গুলো বিলাস বহুল বাড়ি,রয়েছে একটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়,সাব রেজিস্ট্রি অফিস,একটি রাষ্টায়ত্ব ব্যাংক,অনেক গুলো বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার অফিস,অনেক গুলো খাবার হোটেল,মসজিদ মাদ্রাসা সহ অনেক গুরুত্ব পুর্ন স্থাপনাও।এবং এটি এক সময়ে খুবই ব্যস্ততম সড়ক ছিলো।কিন্তু রাস্তাটি ১০/১২ বছর ধরে অবহেলিত ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় অভিজাত এলাকার সন্মান ক্ষুন্ন হচ্ছিলো।ম্লান হয়ে যাচ্ছিলো এলাকার সৌন্দর্য।
মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম বলেন এই রাস্তাটি ছিলো অবহেলিত।কিন্তু আমি নির্বাচিত হওয়ার পর উক্ত এলাকার সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে আমি বদ্ধ পরিকর ছিলাম।এলাকা বাসীর কাছে ছিলাম ওয়াদাবদ্ধ।তাই এমপি মহোদয়ের সহযোগিতায় নগর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাপ্ত ৭ কোটি টাকা থেকে এই বরাদ্ধ দিয়েছি।১২ ফুট রাস্তার ২ পাশে ৪ ফুট ড্রেন করার পরিকল্পনা রয়েছে।এটি প্রধান মন্ত্রীর ঘোষিত গ্রাম হবে শহর সেই চিন্তা থেকে করা।আমার দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে আমি সন্দ্বীপ পৌরসভার সকল রাস্তা পাকাকরন করে একটি মডেল পৌরসভায় পরিনত করবো।চাই সকলের সহযোগিতা।
কাউন্সিলর ও ঠিকাদার শাকিল উদ্দিন খোকন বলেন এই রাস্তা প্রসস্ত করতে গিয়ে অনেকের অনেক স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছে।কিছু মানুষের মন রক্ষা করতে গিয়ে বিগত মেয়রের আমলে সেটি করা হয়নি,কিন্তু আমরা এলাকাবাসীকে বুঝাতে সমর্থ হয়েছি এই রাস্তা তাদের এলাকার কতটা মান বাড়াবে।তাই বৈঠকে সকলে আমাদের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করেছেন।আমার কর্মএলাকায় এমন গুরুত্ব পুর্ন কাজটি করতে পেরে আমি এমপি মিতা সহ মেয়র সেলিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।এবং আগামী ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ টেকসই ভাবে এই কাজটি সমাপ্ত করলে এলাকার চেহারা বদলে যাবে নিঃসন্দেহে।
Comments (০)
Add Comment