সন্দ্বীপে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চার ডাকাত গ্রেফতারসহ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার।

সন্দ্বীপ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সন্দ্বীপে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত চার ডাকাত গ্রেফতারসহ লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয়েছে।গত ৫ই মার্চ রাত চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার সময় সন্দ্বীপ থানা আওতাধীন হারামিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ সালাউদ্দিন রনির বাড়ীতে এবং মগধরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ মোস্তাফিজুর রহমান আজিমের বাড়ীতে একদল ডাকাত ডাকাতি করে।ডাকাতেরা প্রথমে হারামিয়া ইউনিয়নেট ৮নং ওয়ার্ডস্থ সালাউদ্দিন রনির বাড়ীর ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলাম(৩৫) ও তাহার স্ত্রীকে এবং পরে মগধরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ মোস্তাফিজুর রহমান আজিমের বাড়ীর মোস্তাফিজুর রহমান আজিম(৪৭) ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মায়মুনা খানম নিপা এবং তাদের শিশু সন্তান তাসমিয়া(৪) ও নুহান(১৩)’দের নৃশংসভাবে আঘাত করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুঠ করে নিয়ে যায়।

 

উক্ত ঘটনায় সন্দ্বীপ থানায় ১টি ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়।চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সন্দ্বীপের কুখ্যাত ডাকাত ছগির,শরাফত আলী শামীম,মোশারফ হোসেন জনি,মোস্তফাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।

 

গ্রেফতারকৃত চারজনকে পুলিশ রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মামলা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।আসামীদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত নুর ইসলাম(৩০),করিম(৩৯),মনির(২৮),সেলিম(৩৬)সহ আর চারজনকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের হেফাজতে থাকা লুন্ঠিত মালামাল এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেন।এদের মধ্যে নুর ইসলামের বাড়ি ফটিকছড়ি তাকে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়,করিম এবং মনির মগধরা ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা,সেলিম হারামিয়া ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা যায়।ডাকাতির ঘটনায় এই পর্যন্ত আটজন আটক করা হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা যায়।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিকভাবে ডাকাতির ঘটনার দায় স্বীকার করে।অবশিষ্ট লুন্ঠিত মালামাল ও পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান সন্দ্বীপ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম।

Comments (০)
Add Comment