সন্দ্বীপে ধারাবাহিক চুরি হচ্ছে,পুলিশ নির্বিকার

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধারাবাহিক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। কখনো উত্তর সন্দ্বীপে আবার কখনো দক্ষিন সন্দ্বীপে চুরি করছে চোরেরা।ধারাবাহিক চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে চুরি বন্ধ হচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দারা এখন চোর আতঙ্কে ভুগছে। অনেক বাজারে ব্যবসায়ীরা রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছেন।

গত একমাসে ৫৫ থেকে ৬০টি দোকান চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ধোপারহাটে দুটি মুদি দোকান ও দীর্ঘপাড় ইউনিয়নের একটি বাজারে অন্তত তিনটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উত্তর সন্দ্বীপের বানীরহাট বাজারের ১৬ টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

তার আগে গত শুক্রবার রাতেও উপজেলার শিবেরহাটে দুটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে।ওই রাতে চোরেরা সন্দ্বীপ পৌরসভায় একটি বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে গেছে।

পুলিশের দাবি, রাতে দোকানপাটে চুরি করার পর চোরাই পণ্য, টাকা-পয়সা নিয়ে নৌপথ পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় চলে যায় চোরের দল। সম্ভাব্য চোরদের গ্রেপ্তারে তাদের বাসাবাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে অভিযানের টের পেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে চোরের দল।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সীতাকুণ্ড থানার সকল পুলিশ সদস্য চুরি ঠেকাতে সারারাত কাজ করছে। এছাড়া স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তারা। এবার জনপ্রতিনিধিদেরও সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, টহল ডিউটি করার জন্য তাদের মাত্র দুটি গাড়ি রয়েছে। এর বাইরে দুটি অটোরিক্স ও দুটি ব্যাটারী চালিত রিকশা নিয়ে তারা টহল দিচ্ছেন। এছাড়া তিনিও একটি দল নিয়ে আলাদাগাড়িতে টহল দেন। সন্দ্বীপ একটি বড় জনপদের উপজেলা। শুধুমাত্র বাজার রয়েছে ৫৫টি। কিন্তু রাস্তাঘাট-বাজার এত বেশি যে এ কয়টা গাড়িতে পর্যাপ্ত টহল দেওয়া সম্ভব হয় না।

ওসি আরও বলেন, থানায় কনস্টেবল থাকার কথা ৩৮ জন। সেখানে রয়েছে মাত্র ২২জন। তাদের জনবল সংকট রয়েছে। ফলে টহল ও অভিযান এক সঙ্গে পরিচালনা করতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবুও তারা টহলের পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করছেন। অচিরেই চোর ধরা পড়বে বলে জানান তিনি।

সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম নাহিনুল বারী বলেন, সন্দ্বীপের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১জনকে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

Comments (০)
Add Comment