সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটে লাল বোট থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ আব্দুল মান্নানের লাশ উদ্ধার।

অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর।

ন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটে লাল বোট থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ আব্দুল মান্নানের লাশ উদ্ধার।অপমৃত্যুর মামলা নিয়ে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর।

কুমিরা গুপ্ত ছড়া ঘাটে লাল বোট থেকে পড়ে যাওয়া ব্যক্তির লাশ উদ্ধার ২ দিন পর।বোটের মাঝি ও ঘাট কর্তৃপক্ষের মিথ্যাচার ও লুকোচুরির পর এ লাশের খোঁজ মিললেও অপমৃত্যু মামলা নিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।তবে এ মামলা পরবর্তীতে ধারা পরিবর্তন হতে পারেও বলে মন্তব্য করলেন ওসি সহিদুল ইসলাম।কিন্তু পঁচে যাওয়া লাশ দেখে ঘাট কর্তৃপক্ষ বা জেলা পরিষদ কিংবা বিআইডব্লিওটিএ,টিসি কিংবা বোট চালক কারো বিরুদ্ধে লাশ দাফন পর্যন্ত কোন মন্তব্য নেই বলে জানালেন নিহতের মেয়ে মাহমুদা ও স্ত্রী।এদিকে জেলা পরিষদ কর্তৃত অনুদান দিতে চাইলে সেটি নিতে অস্বীকার করলেন স্বজনরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন বোট চালক মিথ্যা বলায় তাকে পরদিন গ্রেফতার করা হয়েছে।এখন আমরা লাশ সনাক্তের পর স্বজনদের কাছে ফেরত দিচ্ছি।পরবর্তীতে খতিয়ে দেখবো এবং ঘাটের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানাবো।আর জেলা পরিষদের অনুদানের টাকা গ্রহন না করতে চাইলে আমরা ফেরত দেবো।

বিগত স্পীর্ডবোট দুর্ঘটনার তদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন সেটির কাজ অনেক এগিয়ে গেছে প্রতিবেদন পেলে সে মোতাবেক পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য যে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ রুটে আবদুর মান্নান সেরাং নামে এক ব্যাক্তি লাল বোট থেকে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে।এ ঘটনায় চলছিলো লুকোচুরি।গতকাল ঘটনার পরবর্তীতে সন্দ্বীপ উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে বোটের ড্রাইভার আবদুল কাদের তার সাক্ষাৎকারে বলেছে পড়ে যাওয়া লোকটাকে উদ্ধার করা হয়েছে।এ দিকে বোটে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী তানভীর মাহমুদ জানান সাগরে পড়ে যাওয়া লোকটাকে উদ্ধার করা হয়নি এবং ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকেরা এ ব্যাপারে কাউকে কোন কিছু না বলতে আমাদের কে বারন করেছে।অপরদিকে নিখোঁজ হয়েছে এ মর্মে আবদুল মান্নানের পরিবার সন্দ্বীপ থানায় সাধারন ডাইরী করেছিলো।আজ অপমৃত্য মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে সে বোট থেকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ অবস্থায় নিহত হয়েছে।স্বজনদের মধ্যে কেউ তাকে মেরেছে বলে এমন কোন সন্দেহ নেই স্বজনদের।

Comments (০)
Add Comment