সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবে মতবিনিময়

পূর্বের ভাড়া বহালের দাবীর মুখে অংশীদারদের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিলেন ইজারাদার।

গুপ্তছড়া-কুমিরা ফেরীঘাটের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন ঘাট ইজারাদার চেয়ারম্যান এস.এম আনোয়ার হোসেন। তিনি জ্বালানী তেল ও স্পিড বোট যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধির কারনে এবং সরকারের নভেম্বর/২০২১ মাসে নৌপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান।তবে তিনি ভাড়া বৃদ্ধির আগে যাত্রীদের অবহিত না করার বিষয়টি সঠিক ছিল না বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় সংবাদকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারন যাত্রীদের ভাড়া কমানোর দাবীর মুখে উল্টো ভাড়া বৃদ্ধির খামখেয়ালীপনার অভিযোগ উত্থাপন করলে তার জবাবে ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, “২০১৩ সনে আমি যখন ঘাটের দায়িত্ব গ্রহন করি তখন জেলা পরিষদকে প্রতিদিন ৬৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতাম,এখন পরিশোধ করি প্রতিদিন ৯০ হাজার।ওই সময় স্পিড বোটের ভাড়া ছিল জনপ্রতি ৪০০ টাকা,৮/৯ বছরে সাধারন যাত্রী ও সংবাদকর্মীদের অনুরোধে বিভিন্ন ধাপে ভাড়া কমিয়ে জনপ্রতি ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে।এই ক’বছরে জেলা পরিষদের ইজারার মূল্য বেড়েছে কিন্তু স্পিড বোটের ভাড়া বাড়েনি বরং কমেছে “।

সামাজিক মাধ্যমে সাধারন জনগনের জিজ্ঞাসা অনুযায়ী ঘাট ইজারাদারের অংশীদার কারা এবং কে বা কারা সুবিধা ভোগ করেন এমন প্রশ্নের তিনি বলেন কাগজেপত্রে যেহেতু ইজারাদার আমি তাই তাদের নাম প্রকাশের যৌক্তিকতা বা প্রয়োজন নেই।

এ ছাড়া সাদাটিকেটধারী ভাড়া বিহীন ভিআইপি যাত্রীর কারনে ঘাটের ইজারাদারের অনেক টাকা গচ্ছা যায় এবং সাধারন যাত্রীদের ওপর এর প্রভাব পড়েছে এবং বাড়ছে ভাড়া।এরা কারা?প্রেসক্লাবের কেউ এ সুবিধা নেয় কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,প্রেস ক্লাবের কোন সদস্য এ সুবিধা নেন না। ভিআইপি টিকেটবিহীন যাত্রীরা কারা-বার বার এ প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে গেছেন।

একজন সংবাদ কর্মী উক্ত রুটে নিয়মিত যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগের সূত্র ধরে বলেন, সরকারী কয়েকজন সৎ কর্মকর্তা ছাড়া প্রায় প্রতিটি সরকারী দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার পর্যন্ত সাদা বা ফ্রি টিকেট পাওয়ার কারনে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্দ্বীপ ত্যাগ করে রবিবারে ফিরে আসেন।এ সময়ে ফেরীঘাটে সৃষ্টি হয় নানা জটলা।এসব টিকেটবিহীন যাত্রীদের অনুমোদন দেন কারা কিংবা কোন যোগ্যতায় তাদের এ সুবিধা দেয়া হয়।এ প্রশ্নের তিনি সদুত্তর দেননি।

পরে সংবাদকর্মীদের জোর দাবীর মুখে ইজারাদার আনোয়ার হোসেন পূর্বের ভাড়া বহাল রাখার ব্যাপারে তার অন্যান্য অংশীদারদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়ার আশ্বাস দেন।

Comments (০)
Add Comment