হাটহাজারী এলাকায় নির্মান সামগ্রী বহনকারী ট্রাক আটকিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের মুল হোতা আটক।

র‌্যাব-৭,চট্টগ্রামের অভিযানে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী এলাকায় নির্মান সামগ্রী বহনকারী ট্রাক আটকিয়ে চাঁদাবাজি চক্রের মুল হোতা ও এজাহারনামীয় পলাতক আসামী তারেকসহ ২ জন আটক।

ফজিলিতুন নাহার রিপা তার বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের কাজ পরিচালনা করে আসছেন।এলাকার চিহিৃত চাঁদাবাজ তারেক ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীর নিকট ঘর নির্মাণের অনুমতি বাবদ ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ভুক্তভোগী ফজিলিতুন নাহার রিপা বেগমকে চাঁদা না দিলে বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করতে দিবে না মর্মে হুমকী প্রদান করে।ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে চাঁদাবাজ চক্রকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং তার বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

গত ১৩ই রাত আনুমানিক ১০টায় ফজিলিতুন নাহার রিপার বসত বাড়ীতে বালি ভরাট করার জন্য ২টি ট্রাক বালি নিয়ে তার নির্মাণাধীন বাড়ীর সামনে পৌছালে উক্ত চাঁদাবাজ চক্র বালি আনলোড করতে বাধা দেয় এবং ফজিলিতুন নাহার রিপা’র নিকট আরো ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে।

পরবর্তীতে ফজিলিতুন নাহার রিপা র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম ভুক্তভোগীর আবেদনের বিষয়টি মানবিকতার সহিত আমলে নিয়ে উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী শামসু ও মাসুদকে আটক করকে সক্ষম হয় এবং বাকী পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।

এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম জানতে পারে যে,উক্ত চাঁদাবাজি চক্রের মুল হোতা ও এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন হাজিরতলী এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে।উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০শে সেপ্টেম্বর ১২টায় র‌্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী তারেক ও সাকিবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়,তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজী ও ছিনতাই করে চাঁদা আদায় করে আসছে।গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment