২০ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার।

হাটহাজারী থানার একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২০ বছর পলাতক আসামি আজমকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‍্যাব-৭)।রোববার(১৬ এপ্রিল)রাতে হাটহাজার থানার চারিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।আজম একই এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

র‌্যাব জানিয়েছেন,২০০৩ সালের ২৫ নভেম্বর হাটহাজারী-মোহাম্মদপুর রাস্তার উপর লোকজনকে আটক করে টাকা-পয়সা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছিল।

এ সময় জাহাঙ্গীর আলম চিৎকার শুরু করলে আসামিরা ভিকটিমের পায়ের উরুতে রাম-দা দিয়ে কোপ মেরে গুরুতর জখম করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে।ভিকটিমের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে দুস্কৃতিকারীরা ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের প্রতিবেশী ফজল আহম্মদ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে উক্ত হত্যা মামলার আসামি আজমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৩৯৪/৩৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক(গণমাধ্যম)নূরুল আবছার জানান,দীর্ঘ ২০ বছর যাবত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আজম হাটহাজারী থানার চারিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় আত্মগোপনে আছে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাত সোয়া বারটার দিকে অভিযান চালিয়ে আজমকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপন করে ছিল।পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment