সাধারন সম্পাদক পদে এবার নতুন ৪ মুখ ১ দশক পর ইসলামপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন

0 ৩৮৭,৬৮১

সব জল্পনাকল্পনা অবসান ঘটিয়ে কাঙ্ক্ষিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ১ দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থীর নাম ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হয়েছে।

ইতিপূর্বে বেশ ক’বার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও নানা কারণে তা বার বার পিছিয়েছে। সর্বশেষ বিগত ২০১২ সালে ইসলামপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, অত্যান্ত জাকজমকপুর্নভাবে এবার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ৩০০ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন।

সম্মেলন বিষয়ে ইউনিয়ন আ’লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার আবুল হোসাইন
বলেন, দীর্ঘ ১ দশক পর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাষ্টার আবুল হোসাইন আরো বলেন, আগামীতে বড় কিছু উপহার দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সুখে-দুখে পাশে রয়েছি। তাই সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে জয়লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।

এবারের সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তারা হলেন ঈদগাঁও উপজেলা আ’লীগের সদস্য ওসমান গনি, ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও মমতাজুল উলুম ফরিদিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক মাষ্টার আবুল হোসাইন,ইউনিয়ন আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদু শুক্কুর মেম্বার ও ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি ছৈয়দ আহমদ।

ইতোমধ্যেই সম্মেলনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জেলা-উপজেলা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। ব্যস্ত সময় পার করেছেন তদবিরেও।

সম্মেলনের মাধ্যমে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নেতাকর্মীরা চাচ্ছেন, প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমেই যোগ্য ব্যক্তিরা নেতা নির্বাচিত হোক।

ইতিমধ্যে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রথম সারির নেতারা নিজেদের প্রচার প্রচারণায় ইউনিয়ন জুড়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ঝুলিয়েছেন। কে হবে দলের সাধারণ সম্পাদক এই নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে চলছে জল্পনা কল্পনা।

জানতে চাইলে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ওসমান গনি বলেন, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে চূড়ান্ত। দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে আছি, দলের সব কর্মকাণ্ড পালন করছি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত দলের সেবা করতে চাই। দলের নীতি নির্ধারকরা জানেন আমি কে আমার পরিচয় কি। দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করেছি।

সম্মেলনের বিষয়ে মাষ্টার আবুল হোসাইন বলেন, দেশের কল্যাণে মানুষের প্রয়োজনে রাজনীতি করছি। এলাকার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য মুলত আমি প্রার্থী হয়েছি।

দলের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আবদু শুক্কুর মেম্বার বলেন, রাষ্ট্র এবং মানুষের জন্য রাজনীতি করছি আমরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও শেখ হাসিনার নেতৃতে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য উপজেলাতে সম্মেলন শুরু হয়েছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের সম্মেলনের গুরুত্ব একটু বেশি।

এবারের সম্মেলনে দলের আরেক সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা ছৈয়দ আহমদ বলেন, এই ইউনিয়নের সন্তান আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করে আসছি। ক্ষমতাকে আগলে রাখার রাজনীতি চলছে এখানে। যার কারনে পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীরা তরুণ নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। ক্ষমতাকে আগলে না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। হাউব্রিডদের কারণে আজ দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনেকাংশে উপেক্ষিত। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিতের জন্য এবারের সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২০১২ সালে ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মনজুর আলম চেয়ারম্যান সভাপতি ও শাহজান চৌধুরী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্মেলনের ১ মাস পরে ৭১ সদস্য বিশিষ্ঠ ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। এর মধ্যে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!