চকরিয়া খুটাখালীতে রাতের আধারে খরিদা জমি দখল নিতে ঘেরাবেড়া ভাংচুরের অভিযোগ।

0 ৮৭৫,৪৬৮

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে ভিটে জমি(বাগান)রাতের আধারে জবর দখল চেষ্টা, ঘেরাবেড়া ভাংচুর ও দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। গত ৫ জানুয়ারি সংগঠিত ঘটনায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে থানা পুলিশের কাছে তদন্তনাধিন।

মামলায় একই এলাকার ইসলাম আহমদের পুত্র আবদুল মান্নান(৪২)তার স্ত্রী পারভিন আক্তার(৩৩)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রকৃত অর্থে ঐ জমির খরিদা মালিক বর্ণিত ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মৃত মোস্তাক আহমদের পুত্র সাহাব উদ্দিন বাবুল(প্রবাসী)।খুটাখালী মৌজার বিএস ৩৫৯ নং খতিয়ানের সৃজিত ১১৬৬নং খতিয়ানের ৪২৪/৪২৫ দাগের ১৮.৫০ কড়া জমিতে বাগান করে শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘ বছর ধরে ভোগদখলে ছিলেন।

সম্প্রতি সময়ে লোভের বশবর্তী হয়ে একই এলাকার আবদুল মান্নান তার ভগ্নিপতির ক্রয়সুত্রে দখলীয় জমির পাশে গত শুক্রবার রাতে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে দখল করত।অবৈধ অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বাগানে প্রবেশ করে জোরপুর্বক অর্ধ শতাধিক সীমানা পিলার ভেঙ্গে কাটাতারের ঘেরাবেড়া উপড়ে ফেলেছে।তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে প্রবাসী বাবুল।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে সাহাব উদ্দিন বাবুল জানান,খরিদা হিসেবে ক্রয়কৃত জমি সমান ভাগ হওয়ার পর আমার ভাই আবুল কালামের অংশ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।কিন্তু রেকর্ডের সময় জমি সমান ভাগ করে রেকর্ড হয়।ওই জমি মান্নানের ভাগিনা সালমান গংএর দখলে রয়েছে।এরপরও মান্নান তাদের ওয়ারিশি বলে বিভিন্ন সময় দাবী করে আসছিল।এ ঘটনায় বহুবার স্থানীয় ভাবে জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে মিমাংশার চেষ্টা করে।কিন্তু মান্নান তারা জমির বিষয়ে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনা।

এমনকি ২০১৫ সালে মিথ্যা জাল জালিয়াতি করে ওয়ারিশ সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে।
পরে আমরা আদালতে সাধারন ডায়রি(৫৮৩/২৩)করি। আদালতে জিডি রেকর্ডের পর তারা রাতের আধারে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসীর সহযোগীতায় জমি দখলের চেষ্টা ও কাটাতারের ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে।

এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে ধরে মারধর করে এবং বাড়ির ভিতরে আটকিয়ে রেখে।আমরা যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারি তার জন্য মান্নান গং এর ভাড়াটিয়া লোকজন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাধা প্রদান করে এবং আমরা ওই জমিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীন জিবীন-যাপন করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মান্নানের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি,পেলে পরবর্তীতে ছাপানো হবে।

চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান,
এই বিষয়ে এখনো কিছু জানি না,তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!