বর্ষা মৌসুমে যাত্রীদের ভোগান্তি রোধে দিনে শীপ দুই ট্রিপ দেওয়া জরুরিঃ সোহাগ সন্দ্বীপি।

0 ৬৮৮,০১৪

প্রকৃতির পালা বদলের উপর নির্ভর করে চলতে হয় আমাদের সন্দ্বীপবাসীকে।সাগর বেষ্টিত এই দ্বীপের বাসিন্দাদের মূল ভূখন্ডের সাথে চলাচলের একমাত্র মাধ্যমই হচ্ছে নৌ-পথ।বছরে চার-পাঁচ মাস আমাদের সন্দ্বীপবাসী খুব আরামে এই সাগর পাড়ি দিতে পারলেও বর্ষা ঢুকার সাথে সাথে আমরা হয়ে যায় অসহায়।সে সময়ে মনে হয় আমাদের মত অভাগা বুঝি এই দুনিয়াতে কোন বাসিন্দারাই নেই।বর্ষা মৌসুমে আমরা বিপদে-আপদে যথাসময়ে চট্টগ্রাম শহর কিংবা মূলভূখন্ডের সাথে চলাচল করতে হলে নাকানি চুবানি খেতে হয়।সময় মতো হয়তো অনেক কাজেই আমরা শেষ করতে পারি না বৈরী আবহাওয়ার কারণে।কারণ সাগর থাকে উত্তাল।

যাতায়াতের জন্য এখানে স্পিডবোট কিংবা কাঠের বোট থাকলেও বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরে এসব নৌ-যান হয়ে যায় অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ।তাই এসময়ে আমাদের নদী পাড়ি দেওয়ার অবলম্বন হয় জাহাজ।
আমাদের এখানে এম.ভি আইভি রহমান নামে একটি অত্যাধুনিক জাহাজ রয়েছে।সাধারণত এটি দিনে একবার সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে যায় আর একবার চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ আসে।এতে করে অধিকাংশ যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরে স্পিডবোট কিংবা কাঠের বোটে পাড় হতে হয়।কিন্তু এই ঝুকিপূর্ন সময়ে তো এসব বোটে পাড় হওয়া সম্ভব না।

তাই আমাদের অনুরোধ অন্তত এই বর্ষা মৌসুমে সন্দ্বীপবাসীর স্বার্থে এমভি আইভি রহমান যদি দিনে ২ট্রিপ করা হয় তাহলে এই বর্ষা মৌসুমে সন্দ্বীপবাসীর জন্য অনেকটা সুবিধা হবে।সকাল সাতটায় সন্দ্বীপ থেকে এম.ভি আইভি রহমান চট্টগ্রামে যায় আবার চট্টগ্রাম থেকে নয়টায় সন্দ্বীপ আসে।কিন্তু বাকী সময়টা সন্দ্বীপের কূলে পড়ে না থেকে যদি সকাল ১১টায় সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে যায় আবার দুপুর দুইটায় চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ আসে তাহলেই সন্দ্বীপবাসীর কষ্ট অনেকাংশে কমে যাবে।

এভাবে ২ট্রিপ শীপ ছাড়া হলে বর্ষার মৌসুমে কিছুটা হলেও আমাদের ভোগান্তি কমবে।কিছুটা নিরাপদে এই সাগর পাড়ি দিতে পারবে বলে আমি মনে করি।তাছাড়া রোগী পারাপারের জন্য যদি সরকারের দেওয়া সী-এম্বুলেন্সটি চালু করা হয় তাহলে মোটামুটি বর্ষার মৌসুমে সন্দ্বীপবাসীর ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যাবে।

গতকাল সন্দ্বীপের একজন মা ব্রেইনস্ট্রক করে সন্দ্বীপের কূলে ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারেননি।আবহাওয়া খারাপ থাকলে ঘাট কর্তৃপক্ষ কেন দায়ী হবে যেখানে সরকার আমাদের সন্দ্বীপবাসীর জন্য সী-এম্বুলেন্স দিয়ে রেখেছেন।তাই এই বর্ষার মৌসুমে এম.ভি আইভি রহমান দুইবার আসা-যাওয়া করা এবং সী-এম্বুলেন্স চালু রাখা সন্দ্বীপবাসীর প্রাণের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সন্দ্বীপবাসীর পক্ষ থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সন্দ্বীপের কৃতি সন্তান রিয়াদুল মামুন সোহাগ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!