চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় গৃহকর্ত্রী কর্তৃক কাজের মেয়েকে মারধর ও চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে ০১ জন গ্রেফতার।

0 ১৩২

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় গৃহকর্ত্রী কর্তৃক কাজের মেয়েকে মারধর ও চুল কেটে মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগে ০১ জন গ্রেফতার।গত ১৩ই জুলাই হতে ভিকটিম তসলিমা আক্তার(১৫)মাসিক ৩০০০/- টাকা বেতন নির্ধারন করে বিবাদী ডাক্তার নাহিদা আক্তার রেনু(৩৪)এর বাসায় কাজ করে আসছিল।গত অনুমান ০৩ মাস পূর্ব হতে বর্ণিত বিবাদী বাদীর মেয়ের সহিত বাদীকে ও তাহার পরিবারের লোকজনকে মোবাইল ফোনে সহ অন্য কোন উপায়ে যোগাযোগ করতে দেয় না।গত ১৮ই জুলাই বাদীর মেয়ে তসলিমা আক্তার(১৫)বিবাদীর বাসা পরিস্কার করার সময় তার ড্রেসিং টেলিবের নিচে একটি কাজল পাইলে বাদীর মেয়ে উক্ত কাজলটি উঠাইয়া তার চোখে লাগায়।বিবাদী বাদীর মেয়ের চোখে কাজল দেখতে পেয়ে তাকে প্রচন্ড মারধর করে।

পরবর্তীতে ১৯শে বিবাদী বাদীর মেয়েকে চান্দগাঁও থানাধীন চান্দগাঁও আবাসিকস্থ ১৩ নং রোড এলাকার একটি সেলুনে নিয়া বাদীর মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাথার সম্পূর্ণ চুল খুর দিয়া কেটে দেয়।অতঃপর ইং ২২/৭/২০২১ তারিখ সকাল অনুমান ১১:৩০ ঘটিকার সময় বাদী ও তার সঙ্গীয়রা বিবাদীর বর্ণিত স্থায়ী ঠিকানার বাসায় গিয়া তার মেয়ের সহিত দেখা করার চেষ্টা করলে বিবাদী প্রথমে তসলিমা আক্তার তাহার বাসায় নাই বলে জানায় এবং বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন।

একপর্যায়ে অনুমান ০২ ঘন্টা ঘটনাস্থল বিবাদীর স্থায়ী ঠিকানার বাসার সামনে অপেক্ষা করার পর তসলিমা আক্তারকে বেলকুনি দিয়া দেখতে পেলে বাদীর খালাতো বোন ভিকটিম তসলিমা আক্তারকে ২য় তলা হতে নিচে আসার জন্য বলে।বাদীর মেয়ে তসলিমা আক্তার বাদীকে সহ তার সঙ্গীয়দেরকে দেখে দৌঁড়াইয়া ২য় তলা হতে নিচে নামার চেষ্টা করলে বর্ণিত বিবাদী বাদীর মেয়েকে চর থাপ্পর মেরে রুমে নিয়া আটক করে রাখে।

বাদী থানায় এসে ঘটনার বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ স্থায়ী ঠিকানার বাসায় উপস্থিত হয়ে ভিকটিম তসলিমা আক্তারকে উদ্ধার করতঃ হেফাজতে গ্রহন করেন এবং বিবাদীকে আটক করেন।ভিকটিম জখমপ্রাপ্ত থাকায় পুলিশী সহায়তায় ভিকটিমকে চমেক হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। উক্ত বিষয়ে এজাহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!