নারীদের পোশাক টাঙিয়ে বাঁচার চেষ্টা মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মেয়েদের পরনের পোশাকের নিচ দিয়ে গেলে পুরুষের অমঙ্গল হয়, এমন সংস্কার সামনে রেখে তারা রাস্তার উপরে আড়াআড়ি টাঙানো দড়িতে নারীদের পোশাক মেলে দিয়ে পুলিশ ও সৈন্যদের হতোদ্যম করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন; জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনের রাস্তার উপরে কাপড় শুকানোর দড়িতে লুঙ্গি আবার কোথাও কোথাও নারীদের অন্তর্বাসও মেলে দেওয়া হয়েছে।“রাস্তার উপরে লুঙ্গি ঝুলিয়ে দেওয়ার কারণ আমাদের ঐতিহ্যগত একটি বিশ্বাস, যদি লুঙ্গির নিচ দিয়ে যাই তাহলে দুর্ভাগ্য নেমে আসতে পারে,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০ বছর বয়সী একজন আন্দোলনকারী।

“এখনকার দিনের তরুণ প্রজন্ম এগুলো আর বিশ্বাস করে না, কিন্তু সৈন্যরা এখনও করে আর এটি তাদের দুর্বলতা। তাই তারা যদি আমাদের দিকে এগিয়ে আসে এমন জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা যেন দৌড় দেওয়ার সময় বেশি পাই তার জন্য এটি করেছি আমরা,” বলেন তিনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, পুলিশ সেগুলো পার হওয়ার আগে কাপড়ের দড়িগুলো নামিয়ে নিচ্ছে। ঐতিহ্য অনুযায়ী নারীদের ব্যক্তিগত অংশ ঢাকতে ব্যবহার করা কাপড়ের নিচ দিয়ে যাওয়া ‍শুধু অমঙ্গলই বয়ে আনে না, পাশাপাশি পুরুষকে পুরুষত্বহীনও করে তুলতে পারে।

এ বিষয়ে পুলিশের কী মন্তব্য তা জানাতে পারেনি রয়টার্স।এক মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবাদকারীরা ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ও নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিসহ আটক অন্যান্যদের মুক্তি দেওয়া দাবিতে মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এ পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে।তবে কাপড়ের ওই সারিগুলোও পুলিশকে কাঁদুনে গ্যাস, রবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে পারছে না। এসব উপায় ব্যবহার করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা।সেনাবাহিনী বলছে,তারা প্রতিবাদ আটকাতে সংযম বজায় রেখে সাড়া দিয়েছে।নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল জয় পেলেও সেনাবাহিনী কারচুপির অভিযোগ তুলে ক্ষমতা দখল করে। মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন ওই অভিযোগ বাতিল করে দিয়েছিল। 

Comments (০)
Add Comment