মালয়েশিয়ায় কাঁচা টমেটোর বাজার বাড়ছে, বন্দর দিয়ে যাচ্ছে কনটেইনার ভরে

চট্টগ্রাম প্রতিদিন: বাংলাদেশের কাঁচা টমেটোর বড় বাজার মালয়েশিয়া। দেশ থেকে প্রথমবারের মতো রপ্তানি হচ্ছে এ টমেটো। তবে দেশ থেকে আগেও টমেটো রপ্তানি হয়েছে।তা কাঁচা নয়,পাকা টমেটো পাঠানো হতো ফ্লাইটে করে।এবারই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনারে পাঠানো হচ্ছে কাঁচা টমেটো।জানা যায়,মালয়েশিয়ার আমদানিকারক শাহরিয়া ট্রেডিং বাংলাদেশের ঢাকার ‘টিএসএস ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি’ থেকে এ কাঁচা টমেটো ক্রয় করছেন।ফলে টিএসএস ইন্টারন্যাশনাল দেশের ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে টাটকা টমেটো সংগ্রহ করছেন।সিএন্ডএন্ড স্কাইসিল্যান্ড শিপিং লাইনের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়াতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে,গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এক সপ্তাহে তিন কনটেইনারে ৭৫ হাজার কেজি কাঁচা টমেটো পাঠানো হয়েছে।আগামী কয়েকদিনের দিনের মধ্যে প্রতি কনটেইনারের ২৫ হাজার কেজি করে আরও ৬ কনটেইনার পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মোট ৯ কনটেইনারে ২ লাখ ২৫ হাজার কেজি পাঠানো হচ্ছে মালয়েশিয়াতে।বাংলাদেশি টমেটোর বেশ চাহিদার কথা বিবেচেনায় রেখেই ওখানকার আমদানিকারক বাংলাদেশ থেকে এ টমেটোগুলো ক্রয় করছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ে উপপরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন,আমরা পাঁকা টমেটো পাঠানোর জন্য অনুমতি দিই না।কারণ পাকা টমেটো পচে যেতে পারে।কনটেইনারে রপ্তানী করা ওই দেশে পাঠাতে সমুদ্র পথে সময় লাগে। এই সময়ে পাকা টমেটো নষ্ট হয়ে যায়।এতে আরও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়,আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছেও দেশের সুনাম নষ্ট হয়। তাই আমরা কাঁচা পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এর আগে কাঁচা টমেটো রপ্তানি হয়নি।এবার প্রথম পাঠানো হচ্ছে।তাই আমরা সব টমেটো দেশেই কনটেইনারে তোলার অনুমতি দিয়েছি।ক্ষেত থেকে এনে কনটেইনারে তোলার সময় আমাদের লোক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছেন টমেটোগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে কী নেই।টিএসএস ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী খন্দকার সোহেল বলেন,দেশের উত্তর অঞ্চলের ক্ষেত থেকে দেখে শুনে সংগ্রহ করা হচ্ছে কাঁচা টমেটোগুলো।এমন টমেটো নেওয়া হচ্ছে যাতে সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে লাল হয় এমন।আসলে প্রক্রিয়াজাত করে আরও অন্যান্য দেশে টমেটো পাঠাতে পারলে আমাদের দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পেতো।

Comments (০)
Add Comment