মুক্তিযুদ্ধের ৪৯ বছর পরেও স্বীকৃতি পান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা কামাল

রাসেদুল হাসানঃ লক্ষ্মীপুর জেলা চন্দ্রগঞ্জ থানা আওতাধীন ১২নং চরশাহী ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড তিতার কান্দিগ্রাম ইয়াকুব আলীর শহীদের বাড়ি,মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা কামাল পিতা মৃত মহসিন মাতা মৃত আতরের নেছা সকল কাগজপত্র প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও এখনো মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পান নাই।কার্ড না হওয়াতে তিনি আপিল করেন আপিল নাম্বার : ১৪১৫০/ডিজি নাম্বার: ২০০২৪১/সিরিয়াল নাম্বার : ১৩৮৯ )

এছাড়াও আরো অনেক প্রমাণাদি থাকা সত্বেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান নাই।যাহাদের ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময় আমরা পেয়েছি স্বাধীন সর্ব মহত্ব একটি বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পতাকা।সব মিলিয়ে ভালোই আছি আমরা ভালো নেই সুবিধাবঞ্চিত সেই মুক্তিযোদ্ধারা,নেই তাদের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান,না পারে বলতে না পারে সইতে।অতি দুঃখের সহিত কাটাচ্ছে দিন অতীতে রাত যায় স্বপ্নের ভাবনায় প্রতিটা প্রহর কাটে চিন্তা আর চেতনায়।কখন জানি পাবে সেই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এই ভাবতে ভাবতে তিনি আজ নিঃস্ব নিরাশ।মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল পাকিস্তান পিরিয়ডে মুজিবনগর সরকারের অধীনস্থ কর্মচারী ছিলেন।

যুদ্ধ চলাকালীন তিনি কাজে যোগ দেননি,যোগ দিয়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি বেতন পেলেন।আবার বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি চট্টগ্রাম হাফিজ জুট মিলে চাকরিতে যোগদান করেন।তিনি(গ)সিরিয়ালের অন্তর্ভুক্ত মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন।এখন তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানান তাহার বিষয়টা যেন বিবেচনায় নেন।কাগজপত্র সঠিক পর্যালোচনা করে বিষয়টি আমলে নেন।এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বলেন আমি ভাতা চায়,আমি স্বীকৃতি চাই।আমি যে একজন মুক্তিযোদ্ধা।এটাই আমার চাওয়া পাওয়া আমার আর কিছু চাওয়ার নাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।

Comments (০)
Add Comment