হরিশপুর -রহমতপুর সংযোগ সাঁকোটি মেরামত করে স্থানীয় লোকজন ও পুজার্থীদের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসলেন মেয়র সেলিম।

বাদল রায় স্বাধীনঃ অবশেষে গত এক মাসের কষ্ট লাঘবে ও ৪ টি দুর্গা মন্ডপের পুজার্থীদের সহজ যাতায়ত নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসলেন সন্দ্বীপ পৌরসভার জননন্দিত মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম।বাঁশ ও কাঠের সমন্বয়ে ভেঙ্গেে যাওয়া সাঁকোটি মেরামত কাজ সমাপ্ত করলেন সন্দ্বীপ পৌরসভার অর্থায়নে।পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ড ও পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ড সংযোগ সেতু বা হরিশপুর- রহমতপুর সংযোগ সেতু নামে পরিচিত এটি। এক সময়ে উত্তর সন্দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়নের লোকদের যাতায়তের জন্য সহজ ও প্রয়োজনীয় মাধ্যম ছিলো।

বিশেষ করে সন্তোষপুর, কালাপানিয়া, হরিশপুর ও পৌরসভার হাজারো লোকজন প্রতিনিয়ত এই রুটে চলাচল করতো বর্তমানে উপজেলা কমপ্লেক্সে আসার জন্য।১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই সেতুর সংযোগ সড়কটি ছিলো অত্যান্ত ব্যস্ততম সড়ক। কিন্তু ২০১৩ সালে স্লুইসগেইট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সন্দ্বীপ পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড প্রতিনিয়ত প্লাবিত হতো।

আর অত্যাধীক স্রোতের কারনে পৌরসভার খাল গুলো প্রসারিত হয়ে প্রায় সবকটি ব্রীজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে অকেজো হয়ে যায়। সেই সময়ে একই কারনে এই সেতুটিও ভেঙ্গে পড়ে। আর তখন থেকে দুর্ভোগ নেমে আসে এই চারটি ইউনিয়নের লোকজনের। ক্ষতিগ্রস্থ হয় অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও।

এলাকার লোকজন ও পথচারীরা জানান এই সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে মানুষ ৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে বাঘের হাট হয়ে খাদ্যগুদাম রোডের মাধ্যমে সন্দ্বীপ টাউনে যাতায়াত করতে হয়।যার কারনে ভাড়া গুনতে হয় প্রায় তিন গুন বেশী এবং সময়ের ব্যবধান হয় প্রচুর।এছাড়াও ৩/৪ টি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়ার কারনে ক্লাসে প্রতিনিয়ত উপস্থিত হতে পারেনা। আর সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর মানুষের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ২/৩ বার পৌরসভা অফিস কর্তৃক ও পরে এলাকার বিত্তবান লোকদের সহযোগিতায় বিশেষ করে প্রয়াত মাষ্টার কুন্তল রন্জন শুর এর আর্থিক সহায়তায় বাঁশের সাঁকো নির্মান করে কোনমতে মানুষ চলাচলের সুবিধা করে দিলেও বর্তমান অবস্থা ছিলো খুবই নাজুক।

গত ১ মাস ধরে প্রত্যেকদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা ।অন্যদিকে আসন্ন শারদীয় দুর্গা পুজায় সাঁকোটির ২ পাড়ে মোট ৪ টি পুজার আয়োজন হচ্ছে। সে পুজায় প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী যাতায়াত দুর্ভোগের কারনে পুজোর আনন্দ ফিঁকে হয়ে যেতো। স্থানীয় সনাতনী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকার লোকজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়র মহোদয় সাঁকোটি চলাচল উপযোগী করে দেওয়ায় সকলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন।

তবে আপতত কষ্ট লাঘব হলেও এটিকে দ্রুত পাকা ব্রীজে পরিনত করতে স্থানীয় এমপি ও মেয়রের নিকট জনগনের প্রানের দাবী রয়ে গেলো । কারন এলাকার লোকজন এটি একটি আধুনিক ব্রীজে পরিনত হচ্ছে বলে আশ্বাস বানী শুনে আসছেন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।কিছুদিন পুর্বে এটির টেন্ডার কাজ সম্পাদন হয়েছে মর্মেও ঘোষনা দিয়েছেন এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা।এছাড়াও এটি নির্মান না করতে পারলে আগামী নির্বাচনে ভোট চাইতে আসবেননা এমন কঠোর প্রতিশ্রুতিও রয়েছে তার। তাই জনগন দ্রুত এটিকে ব্রীজ হিসেবে দেখতে চায়।

Comments (০)
Add Comment