ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডিইউজে।

ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডিইউজে।সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে কর্মী ছাটাই ও গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন(ডিইউজে) একাংশ।সোমবার(১৯শে সেপ্টেম্বর)দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ মাধ্যম নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র, সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই আহ্বান জানানো হয়।

সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন,সাংবাদিকরা ভালো নেই৷সাড়ে ৪ বছর পরও ওয়েজ বোর্ডের কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না। আগামীতে পত্রিকা,টেলিভিশনে যদি ৯ম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না হয়,তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।তিনি আরো বলেন,সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন।আজকের সমাবেশ থেকে এসব ঘটনার নিন্দা জানাই।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়নের(ডিআরইউ)সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন,সাংবাদিকদের জীবন এখন বিপন্ন প্রায়।তাদের রুটি-রুজি সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।মালিকপক্ষ তাদের অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে পাওনা পরিশোধ করছেন,কিন্তু গণমাধ্যম ঠিক মত চালাচ্ছেন না।

ডিইউজে(একাংশ)সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন,বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি,তাতে সাংবাদিকদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।সামান্য বেতন দিয়ে দৈনন্দিন চলাফেরাসহ পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।আরও দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে,পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপরে বিভিন্ন স্থানে যে হামলা মামলা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।তিনি বলেন,বর্তমানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। যদিও আইনমন্ত্রী বলেছিলেন কোনো সাংবাদিক এর স্বীকার হবেন না,কিন্তু সে কথা রাখা হয়নি।

তথ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন,আমরা তাকে অভিভাবক মানি।আমাদের সবকিছু দেখার দায়িত্ব তার।তিনি একজন বিচক্ষণ সংগঠক।সুতরাং তথ্যমন্ত্রীর উচিত সাংবাদিকদের এই দাবি মেনে নেওয়া।

এছাড়াও নবম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী সাংবাদিকদের বেতন চালু করার জোর দাবি জানান এই ডিইউজে নেতা।বিক্ষোভ সমাবেশে ডিইউজে নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments (০)
Add Comment