কাতারে অর্থ আত্মসাৎ করে দেশে পালিয়ে আসা তৌহিদুল ইসলাম এর কাছ থেকে অর্থ ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন।

কাতারে তিন প্রবাসী ব্যবসায়ীর বিপুলপরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে দেশে পালিয়ে যাওয়া তৌহিদুল ইসলাম এর কাছ থেকে অর্থ ফেরত পেতে সংবাদ সম্মেলন ও বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা।

অর্থ আত্মসাৎ করে দেশে পালিয়ে যাওয়া তৌহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ৫ নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ মানিকপুর বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

কাতারের রাজধানী দোহার আল মানচুরা লুলু এক্সপ্রেস বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় ৩০৯ নাম্বার অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী তিন প্রবাসী ইউনুছ হোসেন রাজিব,আবু তাইয়্যেব ও আবদুল কুদ্দুস।

এসময় ভুক্তভোগীরা বলেন,অর্থ আত্মসাৎ করে কাতার থেকে দেশে পালিয়ে যাওয়া তৌহিদুল ইসলামের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস,বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নোয়াখালী পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী তিন প্রবাসী বাংলাদেশী।

ভুক্তভোগী ইউনুছ হোসেন রাজিব জানান,প্রতারক তৌহিদুল ইসলাম তার একি উপজেলা নোয়াখালী সেনবাগ বাড়ী হওয়ায় একান্ত বিশ্বাস করে ২০১৮ সাল থেকে কাতারে আমাদের কোম্পানির রিয়েল এস্টেট ব্যবসার দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি।কোম্পানির অর্থিক লেনদেন ও কোম্পানির রিয়েল এস্টেট ব্যবসার বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের ভাড়া সংগ্রহ দায়িত্ব দিয়েছি।২০২২ সালে কোম্পানির তিন বছরের হিসাব চাইলে তৌহিদুল ইসলাম হিসাব দিতে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হিসাব দিতে অপারগতা জানান।এমতাবস্থায় গত ১ জুলাই ২০২২ সালে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সম্মুখে সর্বমোট ৪,৮৫,৭৩৭(চার লাখ পঁচাশি হাজার সাতশত সাইত্রিশ)কাতারি রিয়াল ভুক্তভোগীরা পাওনা হয়।

ভুক্তভোগী আরও জানান,কাতারি নাগরিকের কাছ থেকে মাসিক ভাড়া হিসেবে নেয়া বিল্ডিংয়ের ভাড়া কিছুদিনের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারলে কাতারি নাগরিকের দেয়া মামলায় তাকে জেলে যেতে হবে। এমতাবস্থায় তৌহিদুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ নাছির বলেন,কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলামকে মাধ্যম করে নোয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।আমরা কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নোয়াখালী পুলিশ সুপারকে আসামি তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

Comments (০)
Add Comment