চরম্বায় দু`সন্তানের জননীর আত্নহত্যা!স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে স্বামী পলাতক।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের কালোয়ার পাড়া (গুচ্ছগ্রাম) এলাকায় এক মহিলা আত্নহত্যা করেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহত স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে স্বামী পালিয়ে গেছে।

নিহত মহিলার নাম ইয়াছমিন আকতার (১৯)। সে উপজেলার চরম্বা কাজির পাড়ার সিএনজি চালক  ফোরকানের স্ত্রী, একই ইউনিয়নের কালোয়ার পাড়া এলাকার আবদুল আলমের কন্যা এবং সে ২সন্তানের জননী।

২৮মার্চ (সোমবার) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে।বিষয়টি চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মৌলানা মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।

স্হানীয় ও পারিবারিক  সুত্রে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিগত মাসখানিক ধরে ঝগড়াঝাঁটি চলতে থাকে। তারা কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলো। ঋণের টাকা দিতে অপারগতা দেখা দিলে স্ত্রী ইয়াছমিন তার স্বামী কে নিয়ে বাপের বাড়ীতে চলে আসে। স্ত্রী ১ছেলে ১মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতো।  উল্লেখিত সময়ে তার বাপের বাড়িতে তীরের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ইয়াছিন  আত্নহত্যা  করে।

নিহত শরমিন আকতারের ছোট বোন কুরমত আকতার জানান, বিগত ১মাস পুর্বে ঋণের বোঝা নিয়ে আমার বড় বোন আমাদের বাড়ীতে চলে আসে। আমার বোন ও তার স্বামী গত ২দিন পুর্বে ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়। আমি বাড়ীর ভিতরে গিয়ে তীরের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্হা দেখতে পায়। সাথে সাথে আমার দুলাভাইকে খবর দিলে আমার বোন কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতাল আমার বোনকে ফেলে রেখে  দুলাভাই পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে হাসপাতালে পরিদর্শন করেন লোহাগাড়া থানার এসআই মামোনুর রশিদ।

তিনি জানান,নিহত ইয়াছমিনের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসার পর তার স্বামী পালিয়ে যায়।

নিহত ইয়াছমিনের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

Comments (০)
Add Comment