প্রথমবারের মতো স্টিমার সরাসরি ভিড়লো দ্বীপবন্ধু জেটিতে।

দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন যেন ক্ষণিকের জন্য ধরা দিল।নানা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জেটি থেকে শীপে উঠার দাবী করে আসছিলেন তারা।কিন্তু সেই দাবি বাস্তবে রুপ নেওয়া ছিল কল্পনাবিহীন।শীপ থেকে নামতে গিয়ে এই লাল বোট ডুবে সন্দ্বীপ চ্যানেলে ১৮ জন মানুষ প্রাণ হারায়।সেই থেকে লাল বোট যেন আতংকের নাম।কিন্তু এই প্রথমবারের মতো স্টিমার থেকে সরাসরি দ্বীপবন্ধু জেটিতে নামলেন চট্টগ্রাম থেকে আসা সন্দ্বীপবাসীরা।

সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলেও শুধুমাত্র লাল বোটে করে উঠা-নামার কারণেই অনেকেই যেতে চাই না শীপে।তবে আজ এক অন্য রকম চিত্র দেখলো সন্দ্বীপবাসী।

আজ কুমিরা থেকে ছেড়ে আসা এম ভি আইভি রহমান শীপ সরাসরি দ্বীপবন্ধু জেটিতে নোঙর করে।এই প্রথম লাল বোট বিহীন শীপ থেকে যাত্রী নামলো জেটিতে।

এই ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে উঠেছে নানান আলোচনা সমালোচনার ঝড়।কেউ কেউ বলছেন আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত থাকা পুলিশ বাহিনীর সুবিধার্থে শীপ যেটিতে নোঙর করেছে।আবার কেউ বলছেন স্থানীয় এমপি শীপে থাকায় তার বিশেষ অনুরোধে শীপ জেটিতে ভিড়েছে।অনেকেই বলছেন জোয়ার বেশি থাকায় এবং ড্রেজিং এর কারণে শীপ জেটিতে ভিড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজার জনের হাজার লিখার জবাব আসলো তাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং সেটা সন্দ্বীপের এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার ফেসবুক পোস্টে।তিনি লিখেছেন……

প্রিয় সন্দ্বীপবাসী
আসসালামু আলাইকুম
আজকে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ উপকূলে জাহাজটি জেটিতে ভিরানো ছিল পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। BIWTC & BIWTA এর কর্মকর্তাবৃন্দ সহ জাহাজ জেটিতে ভিরানো পরে দেখা যায় পল্টুন ছাড়া জাহাজ জেটিতে ভিরানো সম্ভব নয়।কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেটি থেকে জাহাজে যাত্রী উঠানামা পল্টুন একমাত্র মাধ্যম।
জাহাজের স্ট্রাকচার এবং জেটির স্ট্রাকচার অনুযায়ী পল্টুন উপযুক্ত অবলম্বন।

শীপে থাকা যাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান,আমরা নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবো।প্রথমবার জেটিতে স্টিমার ভিড়ার যাত্রী আমরাই।তবে দুইপাশেই এইভাবে নোঙর করলে সন্দ্বীপবাসীর দুঃখ অনেকাংশে কমে যাবে।

সন্দ্বীপের সাড়ে চার লক্ষ মানুষ চাই এইভাবেই যাতে স্টিমার,যাত্রীবাহী বোট জেটিতে নোঙর করে তাহলে আর কোন ঝামেলা থাকবেনা।সন্দ্বীপবাসী নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।তবে দু’পাড়েই জেটি থেকে সীপে উঠা নামা করার জন্য একই ব্যবস্থা থাকা সময়ের দাবি।

Comments (০)
Add Comment