সন্দ্বীপ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন এস এম আনোয়ার হোসেন।

বুধবার অনুষ্ঠিত সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মগধরা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন।এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হালিমা বেগম শান্তা।

চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীক নিয়ে এস এম আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩৮৮ ভোট।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দীন মিশন কাপ পিরিচ প্রতীকে ২ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফোরকান উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ৪৩৪ ভোট,মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন জামশেদ পেয়েছেন ৮৭ ভোট ও শেখ মুহাম্মদ জুয়েল হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২৭ ভোট।

অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে হালিমা বেগম ৩৬ হাজার ৭৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।নিকতম প্রতিদ্বদ্বি কলস প্রতীক নিয়ে নাহিদ তানমী লিজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৮ ভোট।২ লক্ষ ৪১ হাজার ভোটের মধ্যে কালেকশন হয়েছে ৪৫ হাজার ৩৬২ ভোট।১৮.৪৬% ভোট কালেকশন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য যে,দেশব্যাপি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।ভোট গ্রহণের ৪-৫ ঘন্টা পার হলেও ভোট কেন্দ্রগুলো তে চোখে পড়ার মতো কোন ভোটারদের উপস্থিতি দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো দেখার মতো।সন্দ্বীপের ৮৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

প্রার্থী অথবা ভোটারদের কোন ধরনের অভিযোগ ছিলো এ নির্বাচনে।এমনকি আনোয়ার চেয়ারম্যান ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে আরো চারজন প্রার্থী থাকলেও কেউ কোন ধরনের অভিযোগ করেননি এবং সন্দ্বীপের কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো চোখে পড়ার মতো।অন্যান্য নির্বাচনে ২-১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও এই প্রথম সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাচনে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।প্রশাসন শক্ত হাতে সব কিছু তদারকি করেছে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী এস এম আনোয়ার হোসেন বলেন,প্রথমেই আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সন্দ্বীপের সাংসদ ও বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দ্বীপরত্ন আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান মিতার প্রতি।যিনি আমাকে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন।আমি দুই দুইবার মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের সেবক ছিলাম।আমি মগধরা ইউনিয়ন ছাড়াও সন্দ্বীপের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছি বলেই আমাকে তারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।আগামী পাঁচ বছর আমি সন্দ্বীপ বাসীর খাদেম হিসাবে থাকবো।

তিনি আরো বলেন,আমি আমার সন্দ্বীপবাসীর কাছে ওয়াদা করেছিলাম নির্বাচনের সময় প্রচারণার জন্য ১২দিন সময় পেয়েছিলাম তাই প্রত্যেক পথসভায় একটাই ওয়াদা করেছি যেহেতু ভোটের আগে গিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবার কাছে ভোট চাইতে পারিনি সেহেতু নির্বাচনের পরে আমি সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করে আসবো।এটা আমার হক।আমি এই হক থেকে বঞ্চিত হয়েছি।আর তাই আমি আগে আমার হক আদায় করবো।এরপর সন্দ্বীপবাসীকে সাথে নিয়ে সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার সহযোগী হয়ে সন্দ্বীপবাসীর জন্য সেবক হয়ে কাজ করে যাবো।

নির্বাচন বিষয়ে বিজয়ী ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন,সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়।আমার সাথে যেহেতু কোন প্রতিদ্বদ্বি প্রার্থী ছিলেন না তাই আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছি।আমি সবার দোয়া এবং সহযোগীতা চাই।

নির্বাচন বিষয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হালিমা বেগম শান্তা বলেন,নির্বাচন অবাদ,সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।মানুষ তার পছনের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে।আমি সবার কাছে দোয়া চাই যাতে সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতার সহায়তায় সন্দ্বীপবাসীর জন্য কাজ করতে পারি।

সবমিলিয়ে বলা যায়,সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাচন অবাদ,সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।তবে বৃষ্টির কারণে ভোটাররা কেন্দ্রমুখি না হওয়ায় ১৮.৪৬% ভোট কালেকশন হয়েছে।বৃষ্টি না থাকলে ভোটের পরিমাণও বাড়তে পারতো।

Comments (০)
Add Comment