প্রবাসীর সঙ্গে শাহিনার বিয়ে নামের প্রতারণা।

দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসীরা বিদেশে পাড়ি দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করেন।সেই প্রবাসীদের অর্থ হাতিয়ে নিতে ইদানীং অনেক অসৎ নারী অনেক ধরনের প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে থাকে।আর এমনই এক প্রতারকের খোঁজ মিলেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন ১৪নং মান্দারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম যাদৈয়া গ্রামে।

হুলির বাপের বাড়ীর ইউসুফের মেয়ে শাহিনা আক্তার সাথী মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে জনৈক প্রবাসীকে প্রেমের ফাঁদে পেলে হাতিয়ে নিতে থাকে নগদ টাকা,দামী মোবাইল ফোন,স্বর্ণ গয়নাসহ বিপুল পরিমান দামী জিনিস পত্র।একপর্যায়ে ২৪শে অক্টোবর ২০২২ইং নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে প্রবাসীকে বিয়ে করার অংগীকার করে।

১৪ই নভেম্বর ২০২২ইং দশ লক্ষ টাকা দেনমোহরে প্রবাসীকে বিয়ে করে শাহিনা আক্তার সাথী।বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস ও শশুর বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে ঐ প্রবাসী।এরই মধ্য দফায় দফায় হাতিয়ে নিতে থাকে নগদ টাকা স্বর্ণলঙ্কার।

শাহিনার প্রতিবেশীরা জানায়,অনেকদিন ধরেই ঐ প্রবাসীকে নিজেদের ঘরে নিয়ে আসছে তারা এবং প্রবাসীর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন জায়গায় শাহিনাকে ঘুরাফেরা করতে দেখেছেন প্রতিবেশীসহ গ্রামের লোকজন।

এ বিষয়ে শাহিনার বক্তব্য জানতে তাদের বাড়ীতে গেলে শাহিনার মা বিভিন্ন রকম বুঝিয়ে শাহিনা বাড়িতে নেই বলেন।জসিমের সাথে শাহিনার সম্পর্ক জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,জসিম আমার আত্মীয়কে বিদেশে পাঠান আমিও তাকে বিদেশের জন্য ৪০ হাজার টাকা দেই।শাহিনার বিষয় শাহিনার বাবা সাথে কথা বলতে চাইতে গেলে শাহিনের মা তার বাবা বাড়িতে নেই বলেন এবং মুঠোফোনের নাম্বার চাওয়া হলে নেই বলে জানান।শাহিনার বড় বোনকে শাহিনার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনিও শাহিনা বাড়িতে নেই বলে জানান কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই শাহিনা সাংবাদিকদের দেখে উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের অশালীন আচরণ করতে থাকেন।

ভুক্তভোগী প্রবাসী জানায়,আমি প্রতারিত হয়েছি,আমার সব কেড়ে নিয়েছে।আমি এদের বিচার চাই।

Comments (০)
Add Comment