মনোরম সাঁজে সাঁজলো কালাপানিয়া সাগড় পাড়। 

বাদল রায় স্বাধীনঃ সন্দ্বীপে জেগে উঠা নতুন চর যেন খুলে দিলো  সন্দ্বীপিদের জন্য অপার সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত।আস্তে আস্তে বিনোদন বঞ্চিত সন্দ্বীপের চারপাশের সাগড় পাড় সংলগ্ন এলাকা গুলো সেজে উঠছে বর্নাঢ্য সাজে।যতই দিন যাচ্ছে মনে হয় যেন অচিরেই পুরো সন্দ্বীপের ৩৩ কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ ও চর এলাকা পরিনত হবে পর্যটন স্পটে। কিছুদিন পুর্বে রহমতপুর এলাকায় সীমিত পরিসরে একটি ফুড এন্ড প্লে গ্রাউন্ড খোলার পরে সেখানে ভ্রমন পিপাসুদের ব্যাপক ভীর দেখে মনে হয়েছে সন্দ্বীপিরা বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে মেতে উঠেছেে।আর তার দেখাদেখি এখন কালাপানিয়া এলাকায় উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুর রাজী টিটুর উদ্যোগে আরো ব্যাপক ভাবে ও নান্দনিক সাজে তৈরি হলো সি ভিউ রেষ্টুরেন্ট এন্ড পিকনিক স্পট নামে একটি পর্যটন জোন।যেখানে দেশের বিখ্যাত সি বিচ এ্যারিয়া গুলোর  মতো সকল উপকরন, সাজ সজ্জা ও লাইটিং এর চমৎকার ব্যবস্থাপনা দর্শনার্থীদের চরম ভাবে আকৃষ্ট করছে।যে কেউ সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে মনের অজান্তেই প্রকৃতি ও মানুষের হাতের ছোঁয়াই নির্মিত পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়ে একটি নির্মল ও স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে নিজেকে অনেক হালকা বোধ করেন।নতুন চরের মাটি ভেদ করে উঠা নোনা উদ্ভিদের সবুজ সৌন্দর্য,সাগরের কল কল ঢেউ,সুর্যাস্তের চমৎকার দৃশ্য,হাজারো গবাদি পশুর অবাধ বিচরন,নৌকা ও ট্রলারের সারি,দ্বিতীয় পৃথিবীর মতো জেগে উঠা বিস্তীর্ন চর ও পশ্চিমের দীগন্ত রেখা,সারি সারি নারিকেল গাছে মিট মিট করে জ্বলা লাইটিং এর  ব্যবস্থা, রাত্রীকালীন চাঁদ ও তারার নান্দনিক দৃশ্য দেখে সবার যেন গেয়ে উঠতে ইচ্ছে করে “আকাশের অই মিটিমিটি তারার সাথে কইবো কথা নাইবা তুমি এলে” গানটি অথবা গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গামাটির পথের মতো কতো কবিতা ও গান।

 

আর এ সমস্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ,বসার সু-ব্যবস্থা,রেস্টুরেন্টে রসনা বিলাসের সুযোগ এ সব দেখে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানালেন তাদের চমৎকার অনুভুতির কথা,ধন্যবাদ জানালেন এর উদ্যোক্তা ও ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুর রাজি টিটুকে।ঘুরতে আসা ভ্রমন পিপাসুরা বাচ্চাদের বিনোদনের ব্যবস্থা সহ সকলের সুবিধার্থে রাখলেন কিছু প্রস্তাবনাও।যেমন বর্ষাকালে এই বিচকে স্থায়ী করতে ও সৌন্দর্য্যের নতুন মাত্রা যোগ করতে বাঁশের সাঁকো ও মাচা দিয়ে হাওড় এলাকার মতো স্থায়ী রেস্টুরেন্টে রুপ দেওয়ার মতো কিছু নতুন আইডিয়া সহ গন শৌচাগার ও যাতায়াতের পথ নিরাপদ ও মসৃন করা সহ,নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও।

 

এ ব্যাপারে মুল উদ্যোক্তা আলীমুর রাজি টিটু বলেন ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় আপাতত বিনোদন বঞ্চিত মানুষের চাহিদা বিবেচনায় এটি করেছি।রেখেছি পুর্নাঙ্গ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।আরো কিছু রেস্টুরেন্ট করার পরিকল্পনাও চলছে। কিন্তু দেশের প্রায় সকল জায়গা ও বিভিন্ন দেশ থেকেও পর্যটকরা আসছেন।তাই সেটি আমাদের  নতুন ভাবে  ভাবাচ্ছে।তার জন্য প্রয়োজন আরো বড় রকমের উদ্যোগ।এজন্য সরকারী জায়গা অধিগ্রহন করতে পারলে স্থায়ী ভাবে আরো বড় উদ্যোক্তাদের নিয়ে ভালো কিছু করতে চাই।বর্ষাকালেও যাতে মানুষ ভিন্ন ধর্মী বিনোদন উপলব্দি করতে পারে।তার জন্য সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

Comments (০)
Add Comment