মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে নৌকাডুবির ৬ বছর পর বাড়ি ফিরলেন রাশেদ নামে এক ব্যক্তি।

বিচ্ছিন্ন দীপ উপজেলা হাতিয়ায় ১১নংনিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আদর্শ গ্রামের আবুল কালাম এর ছেলে মোঃ রাশেদ উদ্দিন(২৭)নামের জেলে। দীর্ঘ ৬ বছর পর বাড়ী ফিরলেন। সেই ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ১৪ জনের খোঁজ মেলেনি।নিখোঁজ জেলেদের পরিবার ধরেই নিয়েছিলেন তারা হয়তো বেঁচে নেই।

বৃহস্পতিবার(৯ ফেব্রুয়ারি)সন্ধ্যায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন রাশেদ।যদিও ফিরে আসার পর কারো সঙ্গে কথা বলছেন না তিনি,কেবলই তাকিয়ে আছেন।রাশেদ নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৬নং আদর্শ গ্রামের কালাম হুজুরের বাড়ির আবুল কালাম ও হালিমা খাতুন দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে।

জানা যায়,২০১৭ সালে জাফর সারেংয়ের সঙ্গে মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যান রাশেদসহ ২০ জন জেলে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২০ জেলের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।বেশ কিছুদিন পর ভারতীয়রা ট্রলার উদ্ধার করলেও ৬ জনের মরদেহ ট্রলারের ভেতরে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘ ৬ বছরে বাকি নিখোঁজ ১৪ জনের খোঁজ মেলেনি।নিখোঁজ জেলেদের পরিবার ধরেই নিয়েছিলেন তারা হয়তো বেঁচে নেই। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে ফিরে আসেন রাশেদ।কিন্তু কোনো কথা বলতে পারছেন না তিনি।এ সময় রাশেদের বাবা আবুল কালাম জন্মগত দাগ দেখে নিশ্চিত করেন। রাশেদকে ফিরে পেয়ে তার মা,ভাই-বোন কান্নায় ভেঙে পড়েন।

পরিবারের লোকজন জানান,বিয়ের ৩ মাস ১০ দিনের মাথায় রাশেদের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে।দীর্ঘ ৬ বছর ১ মাস ৭ দিন পর সে বাড়িতে এসেছে।সে কথা না বলতে পারলেও আমরা তাকে চিনেছি।

রাশেদের মা বলেন,ছেলের জন্য মোনাজাতে কান্না করতে করতে আমি প্রায় অন্ধ হয়ে গেছি।তাও সন্তানের খোঁজ পাইনি।আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলাম,আল্লাহ আমার সন্তান বেঁচে থাকলে আমাকে এক নজর দেখাইয়েন।আজকে আমার সন্তান আমার বুকে আসছে।আমি আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া আদায় করছি।

Comments (০)
Add Comment