র্যাব-১৫ জানতে পারে যে,একটি সংঘবদ্ধ চক্র সরকারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাচার করবে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন পালংখালী এলাকায় বিশেষ কৌশলে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে।তল্লাশীর একপর্যায়ে একজন ব্যক্তি চেকপোস্টের সামনে আসলে তার আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় এবং দ্রত চেকপোস্ট এলাকা থেকে পলায়নের চেষ্টা করে।পলায়নের সময় র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল তাকে আটক করে এবং পলায়নের কারণ জিজ্ঞাসা করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি বিভিন্ন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে ও সন্দেহজনক আচরণ করে এবং সে জানায় তার পরিচয় করম আলী করিম (৩৭), পিতা-ঠান্ডা মিয়া,সাং-মনিয়াঘোনা,ইউপি-হোয়াইক্যং,থানা-টেকনাফ,জেলা-কক্সবাজার।ঐ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ০৬ টি স্বর্ণের বার,০৪ টি নেকলেস,৩৩ টি গলার চেইন,১৭ টি চুড়ি,৩৫ জোড়া কানের দুল,১৫ টি লকেট,১২ টি নাকফুল,১৬ টি আংটিসহ সর্বমোট ১৯১ ভরি ০৬ আনা স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১,২৬,০৯,৪৫৯/- টাকা।
উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বার ও অলংকারের বিষয়ে তার নিকট বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে তা দেখাতে ব্যর্থ হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী জানায়,সে অবৈধ উপায়ে সরকারী শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পাচার করার উদ্দেশ্যে জব্দকৃত স্বর্ণালংকার বহন করছিল।গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এ সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।