সন্দ্বীপবাসীর দুঃখের দিন কি শেষ হচ্ছে না!

চট্টগ্রাম টু সন্দ্বীপ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ।আর এই নৌপথে যাতায়াত করা খুবই দুষ্কর।বছরের পর বছর নৌ দূর্ভোগ নিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে সন্দ্বীপবাসীকে।তার উপর রিক্সতো আছেই।

সন্দ্বীপ টু চট্টগ্রাম যাতায়াতের আরো ৬টি ঘাট থাকলেও রাস্তার সমস্যার কারণে যাতায়াত করতে হচ্ছে কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাট দিয়ে।বাকী ঘাটে যাতায়াতের সুবিধা না থাকায় প্রায় বন্ধের মতই।তাই নির্ভর করতে হচ্ছে কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাটের উপরেই।

সন্দ্বীপের সাড়ে চার লক্ষ সন্দ্বীপবাসীর জন্য কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাট।একদিকে যেমন যাত্রীর চাপ অন্য দিকে অনিয়মের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সন্দ্বীপবাসী।ঘাটে সমস্যা লেগেই থাকে।শেষ হতে চাই না সমস্যা।

ডিজিটাল বাংলাদেশে একমাত্র সন্দ্বীপবাসী যাতায়াত করছে এ্যানালক পদ্ধতিতে।কোমর পানিতে নেমে,কাঁদায় হেঁটে,পানিতে ভিজে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

এদিকে ৩টি কোটি টাকার ব্রীজ করলেও কোন কাজেই আসছে না সন্দ্বীপবাসীর।সন্দ্বীপ গুপ্তছরা ঘাটে কোটি টাকার ২ টি ব্রীজ ও কুমিরা ঘাটে কোটি টাকার ১ টি ব্রীজ থাকার পরেও পানিতে ভিজে,কাঁদা মাটি পাড় হয়ে,নানা সমস্যা মোকাবিলা করে তারপর সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম অথবা চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ পৌঁছতে হয়।কোন কাজেই নেই এই ৩ টি ব্রীজের।

সন্দ্বীপবাসীর সমস্যা যেন পিছুই ছাড়ছেনা,জাহাজ যেতে পারে না কুলে,যার ফলে সেই লাল বোড দিয়েই জাহাজে উঠা-নামা করতে হয়,স্প্রীডবোড একই অবস্থা দুপাশেই কোমর পানিতে নামিয়ে দেওয়া হয়।সন্দ্বীপ টু চট্টগ্রাম যাতায়াতের ব্যবস্থার অবনতি হয়েই যাচ্ছে।

এদিকে সন্দ্বীপের সাংসদ আলহাজ্ব মাহফুজুর রহমান মিতা নানাভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছেন সমস্যা সমাধানে।সরকার সমস্যা সমাধানে ৩টি ব্রীজ,জাহাজ দিলেও সমস্যা হচ্ছে উঠা-নামায়।এই সমস্যা সমাধানের উপায় বের করা হচ্ছে।

Comments (০)
Add Comment