সন্দ্বীপ কৃ্ষি কর্মকর্তার কার্যালয় হতে ৪ শ কৃষককে আউশ প্রনোদনা ও ৩ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

বাদল রায় স্বাধীন: আজ ১৩ এপ্রিল সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৪০০ কৃষককে আউশ প্রনোদনা হিসেবে ২০ কেজি ডেপ সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং আধুনিক কৃষি যন্ত্র হিসেবে ৩ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৩ জন কৃষককে ৭০ % ভুর্তকিতে প্রদান করা হয়েছে । যার প্রতিটি মেশিনের ভর্তুকি মূল্য ৭০% হিসাবে পড়েছে ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা যা সরকার প্রদান করবে বাকি ৩০%এর মূল্য কোম্পানির কাছে কৃষক প্রদান করবে । যাদের এই হারভেস্টার মেশিন প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন দীর্ঘাপাড়ের চেয়ারম্যান ও কৃষক আনোয়ার হোসেন টিটু, বাউরিয়া ইউনিয়নের বিদেশ ফেরত কৃষক সাইফুল ইসলাম ,গাছুয়ার কৃষক ও ব্যবসায়ী জোবায়েদ আল মাহমুদ। উক্ত তিনটি হারভেস্টার মেশিন আবেদিন ইকুইমপমেন্ট লিমিটেড থেকে ক্রয় করা হয়েছে সেগুলো হলো PRO 588 -i G মডেল এর।
উক্ত প্রনোদনা ও হারভেস্টার মেশিন বিতরন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান, মাষ্টার শাহজাহান বিএ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন ।সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদর্শী সম্বৌধি চাকমা।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজ।
এই প্রনোদনা ও কৃষি যন্ত্র প্রদান শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ সবুজ এক স্বাক্ষাৎকারে বলেন এই কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা,ধান মাড়াই,ঝাড়াই ও বস্তাবন্ধি সহ প্রয়োজনীয় অংশ সুন্দর ভাবে সংরক্ষন করা যাবে । এবং এই মেশিন দিয়ে এক একর জমির ধান কাটতে মাত্র একঘন্টা সময় লাগবে। প্রতিটি মেশিন ৮০ থেকে ১০০ জন শ্রমিকের সমান কাজ করার ক্ষমতা রাখে।এছাড়াও
প্রতিবিঘা জমির ধান কাটতে খরচ হবে মাত্র ১২০০ টাকা, যাতে কৃষকের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ খরচ কমে যাবে। সময় বাঁচাবে ৮০ ভাগ। অন্যদিকে যন্ত্রটি কাঁদা পানিতে থাকা ও শুয়ে পড়া ধান গুচিয়ে কেটে দেবে। তিনি আরো বলেন কৃষির আধুনিকীকরন ও যান্ত্রিকিকরনের জন্য এই মেশিন অত্যন্ত যুগোপযোগী।ধান, গম কাটার সময় বন্যা, ঘর্ণিঝড় লেবার সংকট প্রভৃতি মোকাবেলায় এই কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে কৃষকের ক্ষতি কমানো সম্ভব। এই যন্ত্র ব্যবহারে কৃষি ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন বা বিপ্লব আনবে। খরচ কমে যাওয়ার ফলে ধান আবাদে আগ্রহ বাড়বে এবং অধিক জমি চাষের আওতায় আসবে। ৭০% ভর্তুকিতে এই যন্ত্রটি ছাড়াও অন্যান্য কৃষি যন্ত্র পেতে উপজেলা কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
Comments (০)
Add Comment