সন্দ্বীপ পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধটি এখনি সংস্কার না হলে দেড় লক্ষ লোক ভোগান্তিতে পড়বে

সন্দ্বীপ হরিশপুর-রহমতপুর সুইচ গেইটের পশ্চিম দিক থেকে সাবেক তালুকদার মার্কেট সংলগ্ন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ ফুট বেড়িবাঁধ খুবই নাজুক অবস্থায় রয়েছে।যার কারনে আমাবশ্যা পুর্নিমার অতিরিক্ত জোয়ার বা বৈরি আবহাওয়ায় একটু অতিরিক্ত জোয়ার হলে সেই অংশ দিয়ে সহজে পানি প্রবেশ করবে।আর সামান্য পানি প্রবেশের সুযোগ পেলে সে পানি পাশ্ববর্তী সওতাল খালের শাখা প্রশাখা দিয়ে দ্রুত পুরো পৌরসভা সহ হরিশপুর,রহমতপুর ও কালাপানিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মানুষের কৃষি জমি,মৎস্য ও গবাদি পশু খামার সহ বনজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধন করবে। এবং পৌরসভা সহ তিনটি ইউনিয়নের খাল গুলো প্রসারিত হয়ে সরকারের গত ৫ বছর যে সমস্ত রাস্তাঘাট,ব্রীজ,কালভার্ট ইত্যাদির উন্নয়ন ঘটিয়েছে সেগুলো ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে বলে মনে করছে এলাকার সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে পৌর-এলাকার পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড কমিশার আলা উদ্দীন বাবলু জানান ১নং ওয়ার্ডের এই বেড়িবাঁধ টুকুর যে নাজুক অবস্থা সেটা আপাতত মাটি ভরাটের মাধ্যমে কিছুটা মেরামত করা না হলে পৌর এলাকার ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি চলতি মৌসুমে কিছু মাটি ভরাট করে পরে শুকনো মৌসুমে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের অনুরোধ রইল।

হরিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন সন্দ্বীপের অনেকাংশে বেড়িবাঁধের ব্যাপক উন্নয়ন ও কিছু জায়গায় উন্নয়ন চলমান থাকলেও পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধটির নাজুক অবস্থার কথা আমি শুনেছি এবং সেটা মেরামত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।নয়তো খাল প্রসার হয়ে পৌর এলাকা দুই খন্ডে বিভক্ত হয়ে যাবে।আমি এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে এখনি কিছু করার চেষ্টা চালাবো।

কালাপানিয়ার কৃষক নেতা ওমর ফারুক জানান ২০১৩ সালে স্লুইজ গেইট সংলগ্ন বেড়িবাধ নষ্ট হয়ে আমরা ৫ বছর কষ্ট করেছি।প্রতিদিন সবার বাড়িতে পানি উঠতো।সে ৫ বছর আমরা এক কেজি কৃষি পন্য উৎপাদন করতে পারিনি।তাই দ্রুত এটি মেরামত না করলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতাই আমরা ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন হবো।

এছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সমাজ সচেতন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলে সহজে সমাধান যোগ্য এই কাজটি এখন না করলে এর জন্য ৪ টি ইউনিয়নের জনগন চরম ভোগান্তির মুখে পড়ার আগে এটি আপাতত মাটি ভরাটের মাধ্যমে সংস্কারের জোর দাবী জানান।

Comments (০)
Add Comment