সন্দ্বীপ মুছাপুর ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের রাস্তার বেহাল দশা। এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকার জনগন

বাদল রায় স্বাধীনঃ সন্দ্বীপ মুছাপুর ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের কলেজ কানেকটিং টু তোফায়েল রোডের প্রায় ৪ কিঃ মিঃ মাটির রাস্তার বেহাল দশা। পুরো রাস্তা জুড়ে হাটু পরিমান কাঁদা মাটি এবং ছোট ছোট গর্তে ভরপুর। তাই এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজ গামী ছাত্র/ছাত্রীদের বই খাতা নষ্ট হওয়া,স্থানীয় জনসাধারনের বাজার করা সমস্যা,মসজিদে ও ইউনিয়ন পরিষদে গমন সহ সন্দ্বীপ টাউনে যাতায়তে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।অফিস গামী লোকদের পেন্ট শার্টের পরিবর্তে লুঙ্গি পড়ে যাতায়তের পর পথিমধ্যে পোষাক পাল্টাতে হয়। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচামাল আনা নেওয়াতে কোন যানাহন ব্যহার করা যায়না বলে ৩ কিঃ মিঃ পথ হাটতে হয় বোঝা নিয়ে, বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীদের পাঁজা কোলা করে নিতে হয় ডাক্তারের কাছে। কারন যাতায়াত সমস্যার কারনে ডাক্তার বাড়িতে আসেনা।কিন্তু সন্দ্বীপে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ রাস্তাটি কোন এক অজানা কারনে পাকা করা হচ্ছেনা বলে জানান এলাকার জনসাধারন।

এ ব্যপারে কাতার প্রবাসী এলাকার একজন রেমিটেন্সযোদ্ধা রিদোয়ানুল বারী পারভেজ ভিডিও বার্তায় জানান এ রোড দিয়ে কয়েকটি পাড়ার হাজারো জনগন ও অাজিমপুর ইউনিয়নের লোকজনও যাতায়াত করে। কিন্তু সারাদেশে যখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে সবাই বিদ্যুতের আলোয় বসে যখন ফেইসবুকে উন্নয়নের ছবি আপলোড দেয় তখন আমরা এই কর্দমাক্ত রাস্তায় আদিম যুগের মতো হেঁটে যাওয়ার ছবি আপলোড দিতে হয় তখন সেই ছবি প্রকৃত উন্নয়নকে বিতর্কিত করে। তাই আমরা এমপি সহ সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রালয়ের সহযোগিতায় এ রোডটি দ্রুত পাকা করনের দাবী জানাচ্ছি।

এলাকার সচেতন যুবক ও একটি মেডিসিন কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার মোঃ মনির উদ্দিন জানান আমরা ৩ কিঃ মিঃ রাস্তায় কঠিন কাদা মাড়িয়ে হাঁটতে হয়। মটর সাইকেল থাকার পরও তা দিয়ে যেতে পারিনা। প্রতিদিন বাজারে যেতে পারিনা বলে ৩/৪ দিনের বাজার এক সাথে করে আনি। কিন্তু কারেন্ট ও ফ্রিজ না থাকায় সেগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। ৩/৪ বছর পুর্বে এমপি মহোদয় অর্ধেক রাস্তা পাকা করেছেন বাকি অর্ধেক দ্রুত পাকা করার জন্য ওনার কাছে আমাদের অনুরোধ রইলো।

গৃহীনি নুর নাহার বলেন আদিম যুগের মতো এখনো আমরা পড়নের কাপড় উপরে তুলে এ রাস্তায় হাঁটতে হয়। লজ্জা সরমের বালাই ত্যাগ করে ও পর্দা রক্ষা করতে না পেরে আমরা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পুরুষদের সামনে দিয়ে যাতায়াতে বাধ্য হই। দেশের এতো উন্নয়নের কথা শুনি কিন্তু এ রাস্তার বেহাল দশা কবে কাটবে? এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এলাকার কৃষক বাকের ইসলাম জানান আমাদের উৎপাদিত পন্য নিতে পারিনা বাজারে। অন্যদিকে বৃদ্ধ, অসুস্থ ও বাচ্চাদের তিন কিঃ মিঃ রাস্তা কোলে নিয়ে হাটা চরম কষ্টকর হয়ে উঠে এমপি মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন আমাদের এই কষ্ট দ্রুত লাঘব করা হউক।

Comments (০)
Add Comment