হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম্য বাংলার শত শত বছর মাছ শিকারের সেই ঐতিহ্য!

হৃদয় হোসেন প্রধানঃ সারা বাংলার ঐতিহ্য এবং ইতিহাস প্রর্যালোচনা করে জানা যায় যে,আদি যুগ থেকে দেশের আঁশি শতাংশ গ্রাম বাংলার মানুষের জীবন জীবিকার উৎস ছিলো কৃষি ও মৎস্য কেন্দ্রিক।তখন গ্রাম বাংলার সাধারন মানুষ তারা সারা বছরই নানা ভাবে মৎস্য আহরন করিতেন।

সে সময় তাদের সংসারের নারী পুরুষ সকল সদস্য মাছ শিকারে পরিবার কে সাহায্য করিতেন।তখন নদ নদীতে মাছ শিকারের পাশাপাশি তারা তাদের বাড়ির পাশে পুকুর বা বাড়ির কাছাকাছি পার্শ্ববর্তী জমিকে মাটি টেকে বড় বড় গর্ত করে রাখিত। যাতে বর্ষার সিজনের পর তারা যাতে বাংলামাস পৌষের দিক থেকে শুরু করে গুটা বর্ষার আগ মূহুর্ত প্রর্যন্ত মাছ দরে খেতে পারেন সে জন্য তারা এ ব্যবস্থা করিতেন।

এতে করে বর্ষাকালে তাদের জমিতে গর্ত করা স্থাতে মাছ এসে বসবাস করিতে থাকে,, সে জন্য গ্রাম্য বাংলার কৃষি প্রেমি মানুষেরা ও যাতে সেখানে মাছ অবাধে বাসবাস করিতে পারে কিছু গাছের ঢাল ঝোপ আকারে রেখে দিত।যাতে করে বর্ষার পানি যাবার সাথে সাথেই সেখানে নানা প্রজাতির মাছে থেকে যায়। আর সেখান থেকে আস্তে আস্তে বর্ষা সারার আগ প্রর্যন্ত সারা বছর মাছ দরে খেতেন।

কালের বিবর্তনে এখন আর বাংলার সেই চির চিনা রুপালীময় সৌন্দর্যের দৃশ্য চখে পরেনা।আর দেখা যায় না নারী, বুড়,শিশু কিশোর সকলে মাছ শিকার করিতেন এ সময়।আমাদের রুপালী গ্রাম বাংলা চিরোচিনা সেই রুপ এখন দেখিনা।

আদিকাল থেকে আস্তে আস্তে নানা সময় বিভিন্ন বিপ্লবের পর দেশ এখন এ পরিবেশে। আমরা ও চাই দেশ উন্নত হক, কিন্তু আমাদের বাংলার চিরোচেনা সে গৌরর্ব,ঐতিহ্য, ইতিহাস মুছে না।

এই বাংলার রুপ যৌবন ধরে রেখেছে গ্রাম বাংলার যেসব নদ নদী খাল বিল সেগুলো আর এখন আগের যৌবনে নেই! কোনো কোনো নদ, নদী তাদের সারা অঙ্গ যরানো রুপ যৌবন হারিয়েছে আবার কোনোটি একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে তাদের অস্থিত।সে জন্য দায়ি শহরের হাওয়া গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে প্রভাব ফেলা।

আমরা ও চাই দেশ উন্নত হক,সে জন্য সঠিক নীতিমালার রূপরেখার মাধ্যমে হক।আমাদের গ্রাম গুলোতে এখন চখ পরেছে রাক্ষসে কিছু শিল্পকারখানা নামে কোম্পানির মানুষ নামে অমানুষ ব্যক্তিদের।আর তারা কি করিতেছে তারা কৃষি জমি, মৎস্য চাষের বা আহরনের জমিগুলোর উপর। আর সে জন্য আমাদের রুপালী বাংলার ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের সেই চিরচেনা রুপ যৌবন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা হারাচ্ছি শত শত কৃষি চাষে আবাদি কৃত কৃষি এবং মৎস্য জমি।

ঠিক তেমনিভাবে রাক্ষসে কোম্পানি গুলোর চখ পরেছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় দিকে।এসব কোম্পানি গুলো যেভাবে গজারিয়াতে ছড়িয়ে পরে গ্রাস করিতে মরিয়া হয়ে উঠে পরে লেগেছে, এতে করে মৎস্য, কৃষি জমি আবাদি জমি দূরের থাক। গজারিয়ায় সচেতন মহল মনে করিতেছে আগামী ২০ বছর পর গজারিয়ায় বুকে বসবাস কারি মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা এ বেআইনি প্লানে প্রতিষ্ঠিত শিল্প কোম্পানগুলোর কারনে।

আর সে জন্য গজারিয়া বাসীর চাওয়া এসব কোম্পানির হাত থেকে তাদের কৃষি আবাদি জমি, মৎস্য জমি গুলি তাদের কবল থেকে অবমুক্তি করিতে হবে।আর এসব কোম্পানির কারনে বা দখলের কারনে হাস্য পাওয়া বা নদ নদী, খাল বিল গুলোর আগের যৌবন ফিরে পেতে সরকার বিভাগীয় প্রশাসনের সহায্য চাচ্ছেন। যাতে তারা তাদের সেই চিরচেনা গজারিয়ার নদী, নালায় বরপুর মায়াবী সুন্দরী যৌবনপূর্ণ রুপ ফিরে পায়।

Comments (০)
Add Comment