দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় কর্পোরেশনের ভাগাড় থেকে উচ্ছিষ্ট মধু আহরণকারীদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে: সুজন

0 ১৮১

আব্দুল করিম,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা পুনরায় ব্যক্ত করে বলেছেন,জনগণের হাঁটা চলার পথ জনগণকেই ফিরিয়ে দিতে চাই।জনগণের সম্পদ কারও দখল করার অধিকার নেই।

দখলবাজদের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স নীতিতে ঈর্ষান্বিত হয়ে অবৈধ দখল এবং কর্পোরেশনের ভাগাড় থেকে উচ্ছিষ্ট মধু আহরনকারী মৌমাছিদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। যতদিন দায়িত্বে আছি ততদিন আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।তিনি আরও বলেন,হকার হোক আর যতো প্রভাবশালীই হোক রাস্তা কিংবা ফুটপাত কোনভাবেই দখল করা যাবে না।আমার এ উদ্যোগ চলমান থাকবে।

গতকাল শুক্রবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর অলংকার মোড় হতে তাসফিয়া পর্যন্ত পোর্ট কানেকটিং রোডের উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিক পরিদর্শনকালে চসিক প্রশাসক নগরবাসীর উদ্দেশ্য এসব কথা বলেন।এসময় অলংকার মোড়ের ফুটপাত দখল করে সারিবদ্ধ দোকানগুলো তাৎক্ষণিক তুলে দেন তিনি।চলতি পথে ফুটপাত দখল করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,আইনে পেলে তিল পরিমাণ জায়গাও ছাড় দেয়া হবে না।

তিনি বলেন,ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ তৎপরতা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাকালীন সময়ে পূর্বে উচ্ছেদকৃত ফুটপাত আবার সেই আগের মতো দখলে যাচ্ছে।এ বিষয়ে আমার কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই তথ্য আসছে।তাই আমরা তাদের সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছি। নিউ মার্কেট এলাকার পরিস্থিতি এতদিন আপনারা দেখেছেন।

আর এখন বদলে গেছে নগরীর চিরচেনা সেই ফুটপাতের চেহারা।থেমেছে হকারদের দৌরাত্ম্য।চলাচলের পথে নেই ভাসমান দোকানপাট।হকারদের সুশৃংখল করার কারণে সুন্দর পরিবেশ ফিরে এসেছে রাস্তাঘাটে।জনগণ এখন নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারছে।স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না কেউ।এমন অবস্থায় ফিরেছে নগরী।আমি মনে করি প্রচেষ্টা আর নাগররিক মূল্যবোধ থাকলে আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি বাসযোগ্য নগরী রেখে যেতে পারব।চসিক প্রশাসক হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন,ফুটপাতে কোনোভাবেই হকার বসতে দেয়া হবে না।ফুটপাতে রেখে যাওয়া চৌকি অপসারণ করা হবে।

তিনি পিসি রোডে বসবাসকারীদের আরো কিছুদিন ধৈর্য্য ধারনের আহবান জানিয়ে বলেন,এই সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কার,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম,ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন,বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে এসব সমস্যা সমাধানসহ নানাবিধ বিষয়ে নগরীর সম্মানিত নাগরিকরা উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।আশার বাণী হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে এই সড়ক প্রাণ ফিরে পাবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!