শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ শপিং কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

0 ১৪৩

বাহাউদ্দীন তালুকদার: রাজধানীর মিরপুরে হযরত শাহ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ শপিং কমপ্লেক্সকে ঘিরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ দখলের অভিযোগ উঠেছে।এবিষয়ে বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেছেন মুজিবুর রহমান ও আলমাস আলী।সি.আর মামলা নং ৩২৭/২০২১শাহ্ আলী।সি.আর মামলা নং ২০২১ মিরপুর। নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযুক্তরা হলেন, ১নং দারুসসালাম থানার দক্ষিণ বিশিলের আমজাদ হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৩),২নং মোহাম্মদপুর থানার নবদোয় আবাসিক এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন আল আজাদ(৫০)।

এজাহারে জানা যায়,১ নং বিবাদী অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন সাবেক কর্মকর্তা কেন না দুর্নীতির কারণে টেকনোপল হিসাব বুঝিয়ে দিতে বললে সে দেয় নাই এমন কি কোন রিজাইন লেটার ও দেয় নাই ফলে কোম্পানির সহিত তাহার আপাতত কোন সম্পর্ক নাই। ২নং বিবাদী বর্ণিত হযরত শাহ আলী স্কুল এন্ড কলেজ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির তথাকথিত দুর্নীতিগ্রস্ত সভাপতি হইতেছেন বটে।টেকনোপল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় প্রজেক্ট চলাকালীন অবস্থায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে বিগত ০৪/০৩/২০০২ সালে হযরত শাহ আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য একটি চুক্তিপত্র দলিল এবং একই সাথে একটি ব্যাপক ক্ষমতা সম্পন্ন আমমোক্তারনামা দলিল সম্পাদন করেন।

উল্লেখ্য টেকনো পল কনস্ট্রাকশন কম্পানি হযরত শাহ আলী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শহীদ সম্পাদিত চুক্তি এবং আমমোক্তারনামা শর্ত অনুযায়ী টেকনোপল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ৬৫% শেয়ার হিসেবে সর্বমোট ৫৬৫ দোকানের বৈধ মালিকানা লাভ করে।এখানে একটি বিষয় স্মরণযোগ্য যে টেকনোপল এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সম্পাদিত আমমোক্তারনামা দলিলের শর্ত অনুযায়ী যাহারা বর্ণিত মার্কেটের দোকানের বুকিং দাতা টেকনোপল কনস্ট্রাকশনের কোঃ অফিশিয়াল পেজ এ ছাড়পত্র দিলেই হযরত শাহ আলী স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রাহককে তাদের মূল দলিল ইস্যু করবে।অস্ত্র মামলার ২ নং বিবাদী কলেজ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির তথাকথিত সভাপতি এবং ১ নং বিবাদী নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টেকনোপলের সাবেক কর্মকর্তা এবং দুইজন যোগসাজস করে কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক টেকনোপলকে স্থায়ীভাবে প্রদানকৃত ৩য় তলা মার্কেটের ৮০০ বর্গফুট অফিস ঠিকমতো ব্যবহার করতে দেয় না।

কলেজ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির অন্যতম সদস্য এবং দোকান মালিকদের নিকট থেকে গৃহীত চাঁদা তারা সমিতির কোনো উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার না করে নিজেরা আত্মসাৎ করে নিচ্ছে।১ ও ২ নং বিবাদী সহ সমিতির মোট সদস্য ২১ জন এবং ১২জন ইসি মেম্বার তাদের লোক অন্য কোন সাধারণ দোকানদারদের তারা সদস্যপদ দেয় না।কমবেশি ৮০০ দোকান থেকে প্রতিমাসে প্রতি দোকান থেকে ২৫০ টাকা অর্থাৎ দুই লক্ষ টাকা সামান্য গার্ড বিল ছাড়া সব টাকাই তারা বিগত ১০ বছরে ২-৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।

১ ও ২ নং বিবাদী মিলে উপরোক্ত সাক্ষীদের সম্মুখে উপরোলিখিত প্রতারণা অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস ভঙ্গ করে টাকা চুরি সহ ৭০০ এসি ক্যাবল যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছে এবং সোলার প্যানেল ক্যাবল ব্যাটারি সহ যার মূল আটত্রিশ লক্ষ টাকা ২০ পিস এক্সেলেটরের মূল ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। পাওয়ার জেনারেটর না চালিয়ে নষ্ট করেছে যার মূল্য ২৬ লক্ষ টাকা।

বাদীর কমপক্ষে ৮ কোটি থেকে ২০ কোটি টাকা চুরি ও ক্ষতি সাধন করেছে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৩৭৯/৩৮১/৪০৬/৪২০/১৪৩/৪৪৮/১০৯দঃ বিঃ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন,এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মোঃ ফিরোজ আলম মন্ডল বলেন,আদালত পিবিআই কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।রিপোর্ট হাতে পেলে মহামান্য আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!