নিরিবিলি হোটেলে চাঁদার টাকা না পেয়ে হোটেল ভাংচুর।

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন ৪০নং ওয়ার্ড জিএম কলোনী সংলগ্ন রাস্তার পশ্চিম পাশ্বে নিরিবিলি হোটেলে ডুকে দুর্বত্তরা হামলা চালিয়ে হোটেলের মালামাল ভাংচুর ল্যাপটক সহ সিসিটিভি লুটপাট।গত ১৯ মে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার সময় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিক দুলাল।

ভাংচুরের ব্যাপারে হোটেল মালিক দুলাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,গতকাল হঠাৎ করে কিশোর গ্যাং এর কয়েকজন ছেলে এসে আমার স্টাপকে বলেন,৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে।আমার স্টাপ বলেন হোটেলের মালিক নাই।আমরা তো এখানে কোন অবৈধ ব্যবসা করি না।তাহলে কিসের চাঁদা দিব।এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাং এর লিডার
হৃদয়,আরাফাত রাগিত হয়ে আরো কয়েকজনকে ডেকে নিরিবিলি হোটেলে ডুকে ভাংচুর করেন।এবং দুইজন স্টাপকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন,বর্তমানে দুইজন স্টাপ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

তিনি বলেন,পতেঙ্গা থানা থেকে ৯০০গজ দুরে আমার নিরিবিলি হোটেলটি।দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে আমি পতেঙ্গা থানা এলাকায় ব্যবসা করে করছি।এসব চাঁদাবাজদের জ্বালায় আমরা ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পরেছি।আমার হোটেলে পরিকল্পিত ভাবে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।এরা প্রায় সময় চাঁদা নিতে আসে।চাঁদার টাকা না পেয়ে আমার হোটেলে ডুকে ভাংচুর ও মারধর করেন।এতে করে আমার হোটেলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা।শুধু আমার হোটেলেই না।এরা সব সময় অন্যন্যো হোটেলে গিয়ে চাঁদাবাজি করছেন।

ভাংচুরের ব্যাপারে পতেঙ্গা থানাকে অবগত করলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ৩জন হামলাকারীদের আটক করেছে পুলিশ।পরে হোটেল মালিক দুলাল পতেঙ্গা থানায় ভাংচুর ল্যাপটক ও সিসিটিভি লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করি।

হোটেল ভাংচুরের ব্যাপারে পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,নিরিবিলি হোটেল ভাংচুরের ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে হোটেল মালিক,বর্তমানে মামলাটি তদন্তধীন অবস্থায় আসে।

Comments (০)
Add Comment