স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধু শান্তার পাশে বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন দৃষ্টানুলক শাস্তির দাবি জানান -মুহাম্মদ আলী

চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর,পৃর্ব হেটিখাইন এলাকার বাসিন্দা কানা তাহেরের পুত্র শাকিল উদ্দিন সিহাবের সহিত একই গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে শান্তা ইসলামের বিবাহ হয়।বিয়ের পর জানতে পারে স্বামী মাদকে আসক্ত।তখন বিভিন্ন সময় স্বামী কে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়,স্বামী উল্টো যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর নির্যাতন করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে নির্যাতনের পরিধি বেড়ে গিয়ে গতকল ২৫ আগস্ট আনুমানিক রাত ৮ ঘটিকায় নিজ গ্রামে স্ত্রীর প্রতি চড়াও হয়ে তাকে চুরিঘাতে করে গলার রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে চুরি দিয়ে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় ঘাতক স্বামী শাকিল উদ্দিন শিহাব ।আরও জানা যায় যে শান্তা ইসলাম চার মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা।

এমতাবস্থায় ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন শারমিন সুলতানা মৌ এর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন নবাব হোসেন মুন্নার নির্দেশনায় উক্ত নির্যাতনে স্বীকার শান্তাকে দেখতে ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে হাসপাতালে ছুটে যান ফাউন্ডেশনের একটি টিম।

এই সময় ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মুহাম্মদ আলী বলেন, দেশে মাদক, সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই ধরণের নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন নারী সমাজ,তাই সরকার যেভাবে সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো ভুমিকা রয়েছে তার পাশাপাশি জন সাধারণের মাঝে সামাজিক ভাবে সচেতনতা ও আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এবং এই ধরণের ঘাতকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন,আমরা আশা করবো প্রশাসন অতিদ্রুত শান্তার ঘাতক স্বামী শাকিল উদ্দিন শিহাব কে যেনো আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে।এই সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক হামিদা খাতুন পান্না ও জুলি আক্তার প্রমুখ।

এই সময় এক বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন নবাব হোসেন মুন্না বলেন,প্রয়োজনে বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শান্তাকে আইনগত সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

Comments (০)
Add Comment