ঈদের রাতে আগুনে পুড়ে ছাই বিধবার বসতঘর

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ঈদের রাতেই কপাল পুড়েছে ৮০ বছরের বৃদ্ধা আজিজা খাতুনের। মঙ্গলবার গভীর রাতে পুত্রসন্তানহীন বিধবা আজিজার বসতঘরটি আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এ সময় তিনি মেয়ের বাড়ীতে ছিলেন। ঈদের ব্যস্ততা শেষে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাচ্ছিলেন পাশের ঘরের সৌদি প্রবাসি মোবারকের স্ত্রী শাহেনা। বৃদ্ধার ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ঘুম ভেঙ্গে যায় প্রবাসী স্ত্রী শাহেনার।

 

আগুন নিভাতে তিনি হৈচৈ চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা খবর দেয় দমকল বাহিনীকে। কিন্তু দমকল বাহিনী পৌঁছার পূর্বেই আগুনে ছাই হয়ে গেছে বৃদ্ধা আজিজার টিনের ঘর, আগুনের শিখায় তছনছ হয়ে যায় প্রবাসী মোবারেকের আধা পাকা ঘর। মঙ্গলবার রাতে এ অগ্নিকান্ডটি ঘটে সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কালু মিছার বাড়ীতে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া য়ায়নি।

 

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান-নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার সহ আগুনে তাদের দু’পরিবারের ক্ষতির পরিমান প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা।

 

প্রত্যক্ষদর্শী সুমন জানান, “ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা না রাখলে বাড়ির বাকী ৮টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যেতো”। সন্দ্বীপ ফায়ার স্টেশন ইনচার্জ কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া জানান, “আগুন লাগার আধা ঘন্টা পর খবর পেয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি,রাস্তা সংকীর্ণতার কারনে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হলেও দ্রুত ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছে”।

 

জানা গেছে,বৃদ্ধা আজিজা’র স্বামী বা কোন পুত্র সন্তান না থাকায় একা তিনি ওই ঘরে বসবাস করতেন। ঘরটি পুরে যাওয়ায় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল এ মহিলার ঠিকানা এখন কোথায় হবে তিনি নিজেও জানেন না।

আগুনে ক্ষতির কথা শুনে বুধবার সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা,উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাষ্টার শাহজাহান বিএ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা,ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন,সন্দ্বীপ পৌরসভার মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম,সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ রহিম উল্যা এবং হারামিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

Comments (০)
Add Comment