চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মৃতবাচ্চা প্রসব করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সেই কুমারী শিউলির বাচ্চার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সন্দ্বীপে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ পরবর্তী মৃতবাচ্চা প্রসবের পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলার পর আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় কবরস্থান থেকে বাচ্চাটির মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য ওই বাচ্চার শরীরের অংশ নেয়া হয়েছে।সন্দ্বীপ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(এসআই)মাইন উদ্দিন জানান,মামলার তদন্তের স্বার্থে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।এটি একটি সেনসেটিভ মামলা।তদন্তে যাদের নাম ওঠে আসবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আদালেতের নির্দেশে সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম এর উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্ট লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত,৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ধর্ষণের শিকার মৃতবাচ্চা প্রসবকারী কিশোরী শিউলি।সন্দ্বীপ উপজেলার পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের তালুকদার মার্কেট এলাকায় ২৯ জানুয়ারি সকাল এগারোটায় মৃতশিশুটি ভূমিষ্ট হয়।স্থানীয় সেই যুবতী গত বছর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।বিয়ের আশ্বাসে মেয়ে ও তাঁর পরিবার বিষয়টি গোপন রাখে।
এক পর্যায়ে বাচ্চা প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসলে ছেলে ও তাঁর পরিবার মেয়েটিকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।এতে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটির পরিবার স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন রেখে ঔষধ খেয়ে বাচ্চাটি নষ্ট করে।