চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা ঠেকাতে প্রশাসনের তৎপরতা।

নগরীর ফয়েজ লেক ও লেকসিটি আবাসিক এলাকায় পাহাড় কাটার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।অভিযানে পাহাড় কাটায় জড়িত থাকার ঘটনায় দুইজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।গতকাল বৃহস্পতিবার(৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।

অভিযানে ফয়েজ লেক সংলগ্ন সালামত উল্লাহ বাইলেন এলাকায় পাহাড়ের বিশাল অংশ কাটার প্রমাণ মিলেছে।এসময় পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ২ জন ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়ে যান।

ভূমি অফিসের সংরক্ষিত রেকর্ড অনুযায়ী,কেটে ফেলা টিলা শ্রেণীর জায়গাটির মালিক ইয়াসিন উল্লাহ রাশেদ নামে একজন।তবে জায়গাটির বায়নামূলে মালিক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য।এ দুজনই দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় শ্রমিক নিয়োগ করে পাহাড়টি কেটে আসছিলেন বলে অভিযোগ।তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক পরিবেশ আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অন্যদিকে আকবরশাহ থানার লেকসিটি এলাকায় বিএস ১৭৮ দাগের পাহাড়ি টিলা কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে।এ টিলাতে ১৭৮ দাগে ৮ দশমিক ৬০ একর জায়গা রয়েছে।তবে অভিযানে কেউ জায়গাটির মালিকানা স্বীকার করেননি।

একইদিনে আরেক অভিযানে বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের এশিয়ান উইমেন্স ইউনিভার্সিটির পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার(ভূমি)উমর ফারুক বলেন,পাহাড় কাটার দায়ে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।অপরদিকে এশিয়ান উইমেন্স ইউনিভার্সিটির পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Comments (০)
Add Comment