নোয়াখালীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা।

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গলা ও হাতের রগ কেটে করে জবাই করে করে ঘরের মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।নিহত ওই স্কুল ছাত্রীর নাম তাসমিয়া হোসেন অদিতি(১৪)।সে স্থানীয় নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে।তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

বৃহস্পতিবার(২২শে সেপ্টেম্বর)দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর এলাকায় ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।নোয়াখালীল পুলিশ সুপার(এসপি)শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,ভিকটিমরা দুই বোন।নিহত অদিতির বড় বোন প্রতিবন্ধী এবং ভিকটিম ছোট বোন। নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা উপজেলার জয়নাল আবেদীন মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষিকা। ভিকটিমের মা সকাল ৭টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে চলে যায় এবং সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে বাসায় এসে দেখে বাহির থেকে দরজায় তালা লাগানো।পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াগণও প্রতিদিনের ন্যায় দরজা বন্ধ থাকায় তারাও কিছু অনুমান করতে পারেনি।পরবর্তীতে ভিকটিমের মা দরাজা খুলে ভিকটিমের রুম বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমকে খোঁজ করতে থাকে।এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা বাসার পেছনের দিকে জানালা দিয়ে দেখে তার মেয়ে গলাকাটা রক্তাক্ত ও উলঙ্গ অবস্থায় অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।

এসপি আরও জানান,পরবর্তীতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের মা তার মেয়েকে রক্তাক্ত নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে।প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, প্রতিবেশী নয়নের ছেলে সাঈদ(২০)প্রায় সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। অনেক সময় হুমকিও দিয়েছিল।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন,সার্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রতীয়মান হয় যে,হত্যাকারী একা/ দলবল সহ পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক সুকৌশলে ওঁৎ পেতে থেকে ভিকটিমকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে ভিকটিমমকে ধর্ষণ সহ খুন করে মালামাল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়।

এসপি বলেন,এ বিষয়ে একযোগে থানা পুলিশ,ডিবি,পিবিআই,সিআইডি যৌথভাবে কাজ করছে। তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে সাঈদ কে আটক করা হয়েছে।এ বিষয়ে আরও তদন্ত সহ আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Comments (০)
Add Comment