নোয়াখালী প্রতিনিধি: সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগে তল্লাশির নামে নোয়াখালীর (চাটখিল-সোনাইমুড়ী সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লুটপাট ও গুলি বর্ষণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়নের ভাওরকোট গ্রামের মাস্টার বাড়ির এক ভুক্তভোগী পরিবার।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজ তানভির সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, একই বাড়ির মৃত লকিয়ত উল্যা মাষ্টারের ছেলে বিপ্লবের সাথে এলাকার তুচ্ছ বিষয়াদি নিয়ে মতবিরোধ হয়। এ নিয়ে বিপ্লব সোনাইমুড়ী থানায় ও তানবীর নোয়াখালী আদালতে মারধরের অভিযোগ এনে ২টি আলাদা মামলা দায়ের করেন। বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত থেকে বিপ্লবের করা মামলা থেকে ছাত্রলীগ নেতা জামিনে এসে থানায় পরোয়ানা ফেরত কাগজ জমা দেন। এরপরও মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে নোয়াখালীর (চাটখিল-সোনাইমুড়ী সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে দুই গাড়ী পুলিশ তার বাড়িতে এসে প্রথমে বাহিরের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর ও বসতঘরের জানালার মধ্যে গুলি করে।
পরে দরজা খুলে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও আলমিরাতে থাকা নগদ ২ লক্ষ টাকা লুটে নেয়। ছাত্রলীগ নেতা হাফিজ তানভির আরো জানান, পুলিশের হামলার সময় বিপ্লব ও তার সহযোগীরা লাটিসোটা নিয়ে পুলিশের সাথে ভাংচুরে অংশ নেয়। ঐ গ্রামের মহিন মেম্বার বিপ্লবের অন্যতম সহযোগী। ওই রাতে তাণ্ডবের সময় মেম্বার নিজেও অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রাণ সংশয়ে ঐ রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ভুক্তভোগী তানবীরের মা বলেন, টাকার বিনিমময়ে পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালায়। আমরা জাতীয় হটলাইন সেবা ৯৯৯ কল দিয়েও কোন সহযোগিতা পাইনি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ্য তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবী জানান।