ফুলে ফুলে মৌমাছি প্রজাপতি বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ।

সন্দ্বীপে কালাপানিয়া ৫ নং ওয়ার্ডে জেগে ওঠা বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে হলুদ আর হলুদে বর্ণিল ফসলের মাঠ।যে সৌন্দর্য আকর্ষণ করেছে পর্যটকদের।বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ।প্রকৃতি সেজেছে হলুদ বর্ণের অপরূপ সাজে।শীতের সোনাঝরা রোদে মাঠজুড়ে যেন ঝিকিমিকি করছে হলুদ ফুলের সমারোহ।সাঁঝের বেলায় পশ্চিমাকাশের নরম রোদে সরিষার ফুলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ।দিগন্ত জুড়ে হলুদ ফুলের হাতছানি।ফুল যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে মৌমাছিকে, এসো পান কর মধু,বিলিয়ে দাও জনতার মাঝে। প্রজাপতির দল ছুটে বেড়াচ্ছে ফুলে ফুলে।মৌমাছির গুঞ্জরণে মুখরিত সরিষার বিস্তীর্ণ মাঠ।প্রকৃতিপ্রেমীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে হলুদ-সবুজের মিতালি সরিষা খেতে।এ বছর সরিষার ভালো ফলনে কৃষকদের মুখেও রাঙা হাসি।

মৌমাছি মৌমাছি,কোথা যাও নাচি নাচি-নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের সেই কবিতার মতো মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মৌমাছির দল।পুরোদমে তারা মধু সংগ্রহে সময় পার করছে।মনের অগোচরে তারা সরিষা খেতে এসে লুকোচুরি খেলছে।এর মাঝে যখন তারা হাঁপিয়ে যায় তখন নিরিবিলি হয়ে ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে। হাত-পা-শুঁড়গুলো ফুলের সঙ্গে গেঁথে এক-অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে।মধু সংগ্রহ করে আবার তারা উড়ে চলে যায় আপন নীড়ে।একইসঙ্গে সরিষা খেতে নানা প্রজাতির মাছি ও প্রজাপতির আনাগোনা অবিরত থাকে।বাদ যায় না পাখিরাও।অন্যদিকে সরিষা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই।এতে বাড়ছে পর্যটন সম্ভাবনা। স্থানীয় দোকানপাটে বেড়েছে বিক্রি।ফলে লাভবান হচ্ছেন তারাও।

দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। সয়াবিন তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে।ফলে সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা।সন্দ্বীপে সরিষা আবাদ ভালো হওয়ায় এ জেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন চলছে সরিষা আবাদ।সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।

ধান কাটা শেষে কৃষকরা শুরু করেছেন সরিষার চাষ। কৃষকরা বলছেন,বারি-১৪,বারি-১৭ ও বিনা-৯ আধুনিক জাতের সরিষা চাষ হয় এ অঞ্চলে।এতে শুধু তেলের চাহিদাই নয়,গো-খাদ্যের খৈলের চাহিদাও পূরণ হয়। সেইসঙ্গে জ্বালানি ও মধু সংগ্রহ করেও সচল থাকছে সংসারের চাকা।সরিষা খেতের মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা রাস্তায় ছুটোছুটি করে স্কুলে যাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। তখন বই হাতে ও স্কুল ড্রেসে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মনে হয় তারা হলুদের রাজ্যে মিশে গেছে।

সন্দ্বীপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান,চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছে ১০০ হেক্টর জমিতে।এবছর ভালো ফলনের জন্য টরি-৭,বারি-১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা চাষ করেছেন শতকরা ৯৯ ভাগ কৃষক।সরিষা বীজ রোপণের পর ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় কিছুটা নষ্ট হচ্ছিল পরবর্তী আমরজ আবার বীজ রোপণ শুরু করছি,আশা করি লক্ষ মাত্রা পূরণ হবে।

Comments (০)
Add Comment