লক্ষীপুরে নৌকার মিছিলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি ফারুক হোসেন আহত।

লক্ষীপুর সদর থানা প্রতিনিধিঃ লক্ষীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ১৩নং দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব জামিরতলী ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক হোসেন(২২)কে একই ইউনিয়নের পশ্চিম জামিরতলী ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ফায়েল(২০) ছেনি দিয়ে কোপ দিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।মোহাম্মদ ফায়েল গুপিয়ারখিল মুন্সিহাজী বাড়ির মোহাম্মদ বাবুলের ছেলে বলে জানা যায়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়,মোহাম্মদ ফারুক ও মোহাম্মদ ফায়েলের সাথে পূর্ব শত্রুতা ছিলো আর সেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফারুক-কে মিছিলের মাঝে হামলা করে ফায়েল।ফায়েলের সাথে ফারুকের শত্রুতার জের শুরু হয় ইভটিজিং এর অভিযোগ থেকে।

ফায়েল ১নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েও সে একজন ইভটিজার।ফায়েল ২নং ওয়ার্ড পূর্ব জামির তলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রতিনিয়ত উত্ত্যাক্ত করতো যার অভিযোগ ঐ বিদ্যালয়ের মেয়েরা ২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফারুক হোসেন কে জানায়।অতঃপর ফারুক হোসেন ফায়েল কে ডেকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও ফায়েল বলে এটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

এসব নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়ে যায়।এক পর্যায়ে ১৩নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মুজিবুর রহমান ও ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার সাইফুল ইসলাম স্বপন সহ আরো অনেকে মিলে তাদের মিলিয়ে দেয় ও সবার কাছে ক্ষমা চায় ফায়েল।

ফায়েল সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকারে ফারুকের উপর হামলা করার চেষ্টা করে বলে ফারুকের অভিযোগ রয়েছে।কোথাও সফল হতে না পেরে নির্বাচনি প্রচারণার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান এর জন সভায় ফারুকের উপর ধারালো ছেনি দিয়ে তার উপর হামলা চালায়।মাথার বাম পাশে কোপ দেয়।

ঘটনাস্থলে ফায়েলের সাথে ছিলো একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সুজন(২১),পিতা(অঙ্গাত),সজিব(২০), পিতা শাহ আলম মাইজের বাড়ি,২নং ওয়ার্ডের আকিব (২২),পিতা আবুল খায়ের উদার বাড়ি একই বাড়ির রিয়াদ(২১),পিতা মৃত বেল্লাল হোসেন,১১নং হাজির পাড়া ইউনিয়নের রতনের খিল গ্রামের সিহাব(২০), পিতা আব্দুর রহিম এবং নাম না জানা আরো অনেকই যাদেরকে আগে কখনো এই এলাকায় দেখা যায়নি।

ঘটনাস্থলে ফারুকের মাথায় আগাত লাগায় ফারুক হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় তার পকেটে থাকা ৫০,০০০/- টাকার একটা বান্ডিল ফায়েল ও তার সহযোগীরা নিয়ে পালিয়ে যায়।

জানা যায়,টাকা গুলো ফারুকের মেজো ভাই আরিফ হোসেন তার বিকাশ একাউন্টে অন্য নাম্বার থেকে দেওয়া জন্য দিয়ে ছিলো।ফারুকের এই অবস্থা দেখে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন মিলে তাকে লক্ষীপুর সদর হসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করান।

সেখান থেকে চিকিৎসা শেষ করে রাত ১২টার সময় ফারুক চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।তাই চন্দ্রগঞ্জ থানার কর্তব্যরত অফিসারের নিকট সুস্থ তদন্ত করার জন্য বিনিত ভাবে অনুরোধ করছেন ফারুক হোসেনের পরিবার।

এই বিষয়ে চন্দ্রগন্জ থানার ওসি বলেন,থানায় মামলা হয়েছে,আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

Comments (০)
Add Comment